English

22 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

ইরফান ও তাঁর দেহরক্ষীকে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত

- Advertisements -

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বহিষ্কৃত কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তাঁর দেহরক্ষী জাহিদকে তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে সকাল পৌনে ১০টায় কারাগার থেকে দুই আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় কারাগারের গারদে রাখা হয় তাঁদেরকে। বেলা ১২টায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত দুই আসামিকে ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। তারপর একই আদালতে দুই আসামির রিমান্ড শুনানি হয়।
এসময় আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার আসামি ইরফান সেলিম ও জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো ও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।
এ মামলায় গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) হাজি সেলিমের গাড়িচালক মিজানুর রহমানের একদিন এবং মঙ্গলবার এরফানের ব্যক্তিগত সহকারী এবি সিদ্দিকী দীপুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গত সোমবার সকালে সংসদ সদস্য হাজি সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিম, তাঁর দেহরক্ষী মোহাম্মদ জাহিদ, এবি সিদ্দিক দীপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে মামলা করেন ধানমন্ডি থানায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ইরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং তাঁর স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এজাহারে ওয়াসিফ বলেন, ‘তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যান। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে দায়িত্বরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।’
মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার।
এদিকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন