পানির সংকটের বিষয়ে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ হোসেন খোকন বলেন, এই এলাকায় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। জায়গা না থাকায় এখানে পাম্প বসাতে পারছি না। ওয়াসা আমাদের কাছে পাম্পের জন্য জায়গা চায়।
দনিয়ার দোলাইপাড় এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, কোনোদিন একবেলা তো কোনোদিন দুই বেলা পানি আসে। পানির পরিমাণও কম। চাতক পাখির মতো পানির জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
একই এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন বলেন, পানির খুব সমস্যা। কোনোদিন দুপুরে, আবার কোনোদিন ইফতারের সময় পানি আসে। সারাদিন পানি থাকে না। প্রচণ্ড গরমে এমনিতেই জীবন অতিষ্ঠ, তার ওপর ইফতার ও সেহেরির সময় পানি না থাকা অমানবিক। এ বিষয়ে ওয়াসায় জানিয়েও লাভ হয়নি।
দনিয়ার সরাই জামে মসজিদ এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব জানান, দীর্ঘদিন ধরে পানির সংকট থাকলেও ওয়াসা থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। টাকা দিয়ে ওয়াসার গাড়ি আনতেও পদে পদে পোহাতে হয় ভোগান্তি।
এ বিষয়ে ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টি কম, এরমধ্যে জনসংখ্যা ও চাহিদা বাড়ায় ভূগর্ভের পানির স্তর নিচে নামছে। এজন্য অনেক পানির পাম্প বিকল হয়ে পড়েছে। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কারণেও পানির উৎপাদন ও সরবরাহ কমেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় নতুন পানির লাইন বসানোর কাজ চলছে, এজন্য কিছু এলাকায় পানির সংকট হতে পারে। আবার অনেক এলাকায় পাম্প বসানোর জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে রেশনিং করেই চলতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওয়াসার এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় এখন ২৪ ঘণ্টা পানি পাওয়া যাচ্ছে। তবে প্রচণ্ড গরমে লোডশেডিং হচ্ছে, এতে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় কিছু জায়গায় সমস্যা হতে পারে।
তিনি বলেন, জনসংখ্যা বাড়ার ফলে রাজধানীতে নতুন নতুন ভবন হচ্ছে। পানির চাহিদা বাড়ছে। অপরদিকে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নামছে, পানির উৎপাদনও কমছে। পাশাপাশি বৃষ্টি কম। ভূমির ওপর কংক্রিটের আচ্ছাদন বেড়ে যাওয়ায় পানির রিচার্জ কম। ওয়াসার পাম্প বসানোর নতুন জায়গা পাচ্ছি না। আর সরকারের নীতি হচ্ছে তারা পাম্পের জন্য জায়গা কিনবে না।
এদিকে রোববার (১৬ এপ্রিল) দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল যশোর ও চুয়াডাঙ্গায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৬৫ সালের পর অর্থাৎ গত ৫৮ বছরে এটিই ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।