English

23 C
Dhaka
রবিবার, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৫
- Advertisement -

রাজধানীতে বারের সামনে নারীদের চুলোচুলি

- Advertisements -

গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীদের মদ পানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদ পান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। তাদের কাছে মদ বিক্রি করায় সেলেব্রিটা বারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার(১৭ এপ্রিল) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।

ওই নায় গ্রেপ্তার তিন নারী হলেন, শারমিন আক্তার মিম (২৪), ফাহিমা ইসলাম তুরিন (২৬) ও নুসরাত আফরিন।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়। যেকোন নারী-পুরুষ লাইসেন্স থাকলেই মদ পান করতে পারে। তবে পয়লা বৈশাখের রাতে গুলশান এলাকায় তারা মদ পান করেছেন। কারো কোনো লাইসেন্স ছিল না।

লাইসেন্সহীনদের কাছে বার কর্তৃপক্ষ মদ বিক্রি করেছে। এমনকি এই নারীদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে। যা পান করে মাতাল, বেসামাল হয়ে গেছেন।

তিনি বলেন, বারের লোকজনের বেসামাল নারীদের নিয়ন্ত্রণ করা উচিত ছিল। এই নারীরা বার থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারিতে জড়ালেন। যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখলেন। তারা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলেন।

ডিবি প্রধান বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এই ভিডিও দেখে ভাববে শহরের রাস্তায় নারীরা মাতলামি করবে। মারামারি করবে এটা কোনো অভিভাবকই মেনে নিতে পারবেন না। এসব নারীরা কারো না কারো সন্তান।

তাদের অভিভাবকদের উচিত মেয়েরা কোথায় যায়, কী করে সেদিকে খেয়াল রাখা। আজকে এই নারীরা বারে গিয়ে মদ পান করে এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছেন সেই মেয়েটিও মাতাল ছিলেন।

হারুন অর রশীদ, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী একটি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমরা ব্যবস্থা নেব।

অন্যদিকে, মারধরের শিকার রিতা আক্তার সুস্মি নামের ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে ওই রেস্তোঁরায় যাই। খাওয়ার এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারজন মেয়ে একসঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছে। বিষয়টি রেস্তেরাঁর ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। পরবর্তী সময়ে আমি রেস্তেরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে।

তিনি বলেন, আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারত। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। কারণ রাস্তায় একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন