রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ঝোড়ো বাতাসে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবনের দেয়াল ভেঙে পাশের টিনশেড ঘরে পড়ে ঘুমিয়ে থাকা এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রেশমা নামে। আহত হয়েছেন তিন শিশুসহ ৭জন।
রোববার (৫ মে) রাত ১০টার পর এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান।
আহতরা হলেন- চার বছর বয়সী শিশু রুহান, সাত বছরের রাহাত, নয় বছরের রাফি, রুমা, লিমা, লুৎফা, ফারুক। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত রেশমার লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
জানা যায়, রাত ১০টার দিকে রাজধানীতে তীব্র ঝড় শুরু হয়। সেই সঙ্গে হয় শিলাবৃষ্টিও। এ সময় কিছু এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে।
এর মধ্যে মোহাম্মদপুর ঢাকা উদ্যান সি ব্লকে ১৫ তলা ভবনের ১১ তলায় নির্মাণ করা দেয়াল ঝোড়ো বাতাসে ভেঙে পাশের টিনশেড ঘরের পড়ে। এতে ঘুমন্ত অবস্থায় রেশমা মারা যান। আহত হন সাতজন।
প্রচণ্ড গরমের পরে গতকাল রোববার রাতে রাজধানীতে শীতল ছোঁয়া নিয়ে এসেছে ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি। রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বইতে থাকে ঝোড়ো বাতাস। চমকাতে থাকে বিদ্যূৎ। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নামে স্বস্তির বৃষ্টি।
শুধু বৃষ্টি নয়, বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ থেকে পড়ে শিলা। কিছুটা ক্ষান্ত দিয়ে আবারো রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত চলে তুমুল বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, কালবৈশাখীসহ শিলাবৃষ্টিতে তপ্ত রাজধানীতে আবেশ ছড়িয়ে দিয়েছে। এটিই এই মৌসুমে রাজধানীতে প্রথম শিলাবৃষ্টি। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজও হতে পারে বৃস্টি।
রাজধানীর মিরপুর, হাতিরপুল, ফার্মগেট, বাংলামোটর, ধানমন্ডি, কলাবাগান, সেগুনবাগিচা, গেন্ডারিয়া, গুলিস্তান, মতিঝিল, শান্তিনগর, ফকিরাপুল, খিলগাঁও, বসুন্ধরা, মোহাম্মদপুর, কাওরানবাজার, টিকাটুলি, সায়দাবাদ, মানিকনগর, গোলাপবাগ, রামপুরা, গুলশান, বনানী, উত্তরাসহ পুরো রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাতের ঝড় বৃষ্টিতে কাকরাইলসহ বিভিন্ন স্থানে গাছপালা ভেঙে পড়ে। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানিরা।