রাজধানীর নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ওয়ানস্টপ ইমার্জেন্সি সেন্টারে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ৪ জন। এদের মধ্যে নাহিদ হাসান (১৮) ও মোরসালিনের (২৬) অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাত সোয়া ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাম্মেল হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আইসিইউতে চারজন থাকলেও দুইজন ভালো আছেন। তাদের কোনো সাপোর্ট লাগেনি। তবে নাহিদ ও মোরসালিন নামে দুই যুবকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে নাহিদের অবস্থা রাতের মধ্যে কি হয় কিছুই বলা যাচ্ছে না।
নাহিদ বাটা সিগনাল এলাকায় কুরিয়ার সার্ভিসের একটি প্রতিষ্ঠান কাজ করতেন। তার স্ত্রী ডালিয়া আক্তার জানান, সকালে কামরাঙ্গীরচর দেওয়ান বাড়ি এলাকার বাসা থেকে তিনি কর্মস্থলে আসেন। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বামী নাহিদের হাসপাতালে ভর্তির সংবাদ পান। তার বাবার নাম নাদিম হাসান। শুভ নামে একজন দুপুরের দিকে আহত অবস্থায় নাহিদকে হাসপাতালে আনেন। তিনি জানান, নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত অবস্থায় নাহিত রাস্তায় পড়েছিলেন।
আইসিইউতে মোরসালিন নামে আরও একজন দোকান কর্মচারী মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন। তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় হলেও বর্তমানে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর এলাকায় থাকতেন। তার ভাই নূর মোহাম্মদ জানান, নিউমার্কেট এলাকার নিউ সুপার মার্কেটের একটি দোকানে মোরসালিন কাজ করেন।
এদিকে হাসপাতালে শাকিল নামে এক ব্যক্তি জানান, দুপুরের দিকে নিউমার্কেটে সংঘর্ষের সময় নুরজাহান মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ইটের আঘাতে মোরসালিন আহত হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক দুপুরের দিকে নিজেই জরুরি বিভাগে অবস্থান করেন এবং আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। যাদের আইসিইউ দরকার তাদেরকে দ্রুত আইসিইউয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।