কামাল হোসেন খান: সরকারের সদিচ্ছা এবং তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ নানামুখী সংস্কার মূলক কাজ হাতে নেওয়ায় তিতাস গ্যাসের গ্রাহকদের সুদিন ফিরছে শীঘ্রই। গ্রাহকদের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ছোট বড় মাঝারি প্রকল্প হাতে নিয়েছে তিতাস গ্যাস।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জ্বালানি খাতকে আরো জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
যার মধ্যে রয়েছে পুরাতন বিতরণ লাইন গুলো অপসারণ করে আধুনিক বিতরণ লাইন স্থাপন, আবাসিক বাড়িতে এবং শিল্প বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে গ্যাস বিতরণ ব্যবস্থা এবং সেবা নিশ্চিত করে তিতাসকে একটি স্মার্ট কোম্পানিতে রূপান্তর করা।
তিতাস গ্যাসের উৎসে মিটার বসিয়ে গ্যাসের খরচ নিরূপণ করা, এবং বাসা বাড়ি কলকারখানায় মিটার বসিয়ে গ্যাসে প্রকৃত রাজস্ব আদায় করে লোকসান কমিয়ে আনা, অনিয়ম দুর্নীতি রোধকল্পে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, কোম্পানির বাইরে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গ্যাস লাইনে অবৈধ হস্তক্ষেপ বন্ধ করা সব মিলিয়ে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তিতাস গ্যাসকে একটি উন্নয়ন বান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাঁড় করানোই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
এই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন তিতাস গ্যাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। গত তিন মেয়াদে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ধারাবাহিক সাফল্যের পরিচয় দিয়ে তিতাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের রোড ম্যাপ তৈরি করেছেন তিতাস গ্যাসের এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লা ।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বর্তমান ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।
এ ধরনের আরো বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে তিতাস। যে প্রকল্প গুলো বাস্তবায়িত হলে তিতাস গ্যাস একটি স্মার্ট প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হবে। এবং তিতাস গ্যাসের নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাবে আবাসিক বাণিজ্যিক শিল্প কলকারখানা গুলো। গ্যাসের চাপ সব জায়গায় একই রাখা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। দেশব্যাপী শিল্প কল-কারখানাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সংযোগ দিতে তিতাস গ্যাস এখন অনেক তৎপর।