রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ছুরিকাঘাতে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী নিহত হয়েছেন। তার নাম সীমা আক্তার (২২)।
বুধবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
জানা গেছে, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার রাজ নগর কাজীকান্দি গ্রামের মলাইকাজীর মেয়ে সীমা। তার স্বামীর নাম জুয়েল রানা। তার বাড়িও একই উপজেলায়। তিনি একজন ফল বিক্রেতা। তাদের আবির নামে চার বছরের এক ছেলে রয়েছে।
তারা বর্তমানে পশ্চিম যাত্রাবাড়ী শহিদ জিয়া স্কুলের পেছনে জাপানি বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। নিহতের বাবাও একজন ফল বিক্রেতা। তিনিও পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ীতেই কাছাকাছি বাসায় থাকেন।
নিহতের বাবা ও ভাই জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাবার বাড়ি গিয়েছিলেন সীমা। সেখানে বাসায় ঢোকার এক ব্যক্তি ভিতরে প্রবেশ করে এবং কোনও কিছু বুঝে উঠার আগেই সীমাকে ছুরিকাঘাত করে। তখন সে বলতে ছিল- আমি অন্তঃসত্ত্বা আমাকে মাইরেন না। কিন্তু ঘাতক তার কোনও কথা না শুনে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেই দ্রুত পালিয়ে যায়।
তারা জানান, ছুরিকাতের পর সীমা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছটফট করছিলেন। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে ভর্তির পর গাইনি বিভাগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে অস্ত্রোপচার করে গর্ভের সন্তান (পুত্র) বের করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই শিশুটি মারা যায়। গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন সীমা। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তিনিও মারা যান।
তবে ঘাতক ব্যক্তিটি কে এবং কেন তাকে ছুরিকাঘাত করল সে ব্যাপারে কিছুই বলতে পারেননি সীমা।
ঘটনার সময় সীমার স্বামী ও তারা বাবা বাসায় ছিলেন না বলে নিহতের ভাই নাসির ও চাচাতো ভাই মোশাররফ জানান।
নবজাতক ও সীমার নিহতের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, নিহত নবজাতক ও তার মায়ের মরদেহ ঢামেক মর্গে রয়েছে।