ঈদুল আজহার ছুটি শেষেও কিছুদিন যানবাহনের চাপ কম ছিল রাজধানীর সড়কে। কিন্ত এই স্বস্তি বেশি দিন আর স্থায়ী হয়নি। নগরে ফিরে এসেছে সেই চিরচেনা যানজট। এর মধ্যে আবার গরম। সব মিলেয়ে বেশ ভোগান্তিতেই আছে ঢাকাবাসী।
গত রোববার (১৭ জুলাই) থেকে মূলত বাড়তে থাকে যানবাহনের চাপ। এর মধ্যে অফিস-আদালত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় সেই চাপ তীব্র যানজটে রূপ নেয়।
সবশেষ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) যানজট আরও বাড়ে। বিশেষ করে সকালে অফিস সময়ে সড়কে যানবাহনের চাপ ছিল বেশি। দুপুরে কিছুটা কমলেও বিকেল ৪টার পর দেখা দেয় যানজট।
এদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালী, বনানী, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার ঘুরেছেন ফটো সাংবাদিক মাহবুব আলম।
তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে বনানী, মহাখালী এলাকায় সড়কে যানবাহনের চাপ বেশি দেখা গেছে। প্রতিটি সিগনালে ছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এর মধ্যে বনানী থেকে মোটরসাইকেলে কারওয়ান বাজার যেতে ২৫ মিনিট সময় লেগেছে। রাস্তা ফাঁকা থাকলে এই পথে মোটরসাইকেলে যাতায়াতে আট থেকে ১০ মিনিট সময় লাগে।
সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় ছিলেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মুরাদ হোসাইন।
তিনি বলেন, এসময় সড়কে অফিসগামী যান ও লোকজনকে বেশি দেখা গেছে। টেকনিক্যালসহ অন্যান্য সিগনালগুলোতে গাড়ির দীর্ঘ সারি ছিল।
তবে বেলা ১১টার পর থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাবতলী, কল্যাণপুর, শেরে বাংলা নগর এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল বলে জানান তিনি।
ঢাকা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা শাহবাগ। দিনের অধিকাংশ সময় এই মোড়ে যানবাহনের চাপ থাকে বেশি। সকাল ১০টার দিকে এই মোড়ে যানবাহনের চাপ দেখেছেন স্টাফ রিপোর্টার রাসেল মাহমুদ। তবে দুপুর এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা ছিল বলে জানান তিনি।
একইভাবে কমলাপুর, ফকিরাপুল, মতিঝিল এলাকায় যানবাহনের চাপ কম বলে জানিয়েছেন স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসিন আরাফ রিপন।
সড়কে যানজট পরিস্থিতি কেমন, তা জানতে ‘ট্রাফিক নিয়ার মি অন’ নামে একটি অ্যাপে গেলে দেখা যায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর বিজয় সরণী, ফার্মগেট, মহাখালী, তেজগাঁও, গুলশান, পল্টন, বায়তুল মোকাররম, দিলকুশা, গুলিস্তান, কাপ্তানবাজার, নবাবপুর, ধোলাইখাল এলাকার সড়কে যানবাহনের চাপ রয়েছে। ম্যাপে এসব এলাকার সড়ক লাল দেখা গেছে। এর মধ্যে বিজয় সরণী, নবাবপুর রোড, ধালাইখাল, গুলিস্তান এলাকায় যানবাহনের চাপ বেশি রয়েছে।
বিকেল চারটার দিকে পুরান ঢাকার জনসন রোডের সিএমএম কোর্ট এলাকা থেকে কেরানীগঞ্জে গেছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাহাঙ্গীর আলম। এই পথে যাতায়াতে তেমন যানজট ছিল না বলে জানান তিনি।