গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাক তেলিরচালা এলাকায় সিলিন্ডারের ছিদ্র থেকে বের হওয়া গ্যাসে আগুন লেগে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৪ জনকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধদের মধ্যে অন্তত ৩৪ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের দেখতে সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
জরুরি বিভাগ থেকে দগ্ধদের মধ্যে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলো— নাদিম (২২), নিরব (১০), শুপ্রিয়া (০৯), মিরাজ (১৩), তারেক রহমান (১৭), মান্নাত (১৭), সোলায়মান (৯), লালন (২৩), নাইম (৮), শিল্পি (৩০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মহিদুল (২৭), রাব্বি (১৩), উর্মিতা (২২), সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (৩২), আরিফ (৪০), রত্না বেগম (৪০), তায়েবা (৩), মনসুর আলী (৩০), নূর নবী (৩), রহিমা (৩), কবির (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান (৪০), মশিউর (২২) ও লাদেন (২২)।
হাসপাতালে আসা আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হওয়ার শব্দ শুনে সেটি বাইরে ফেলে দেন বাড়ির মালিক। সেই সিলিন্ডার দেখতে ভিড় করেন অনেকে। এ সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরণ হয়। এতে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হন।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘আমাদের এখানে অন্তত ৩৪ রোগী এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
দগ্ধদের দেখতে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘৭ শিশুসহ দগ্ধ ৩৪ জনের কেউ শঙ্কামুক্ত না। এদের মধ্যে ৮ জনের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেলিরচালা টপস্টার কারখানার পাশে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী জমি ভাড়া নিয়ে কলোনি তৈরি করে ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়িতে থাকা সিলিন্ডারের গ্যাস শেষ হয়ে গেলে পাশের একটি দোকান থেকে শফিকুল নিজেই একটি গ্যাস সিলিন্ডার কিনে আনেন। সেই সিলিন্ডার লাগানোর সময় সিলিন্ডারের চাবি খুলে গিয়ে পাশের চুলা থেকে আগুন ধরে যায়।
এ সময় আশপাশের উৎসুক নারী, পুরুষ ও শিশুদের শরীরে আগুন লেগে যায়। এতে অন্তত ৩৬ জন দগ্ধ হয়েছেন। পরে আশপাশের লোকজন আগুন নিভিয়ে তাদের উদ্ধার করে কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।