গভীর রাত থেকে রাজধানীতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, ভোর হতেই তা বাড়তে থাকে। হালকা মাঝারি ও মুষলধারে বর্ষণ হয়েছে। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টির থামার নাম নেই। টানা এই বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টি হয়েছে। মৌসুমী বায়ু না আসলেও এমন বৃষ্টিতে মনে হতেই পারে ঢাকায় ঘোর বর্ষা নেমেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সকাল ৯টা পর্যন্ত দেশের উনিশ অঞ্চলের নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়। এছাড়া আগামী দুইদিনে আবহাওয়ার কিছু পরিবর্তন হতে পারে।
দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ফলে এসব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে, নেত্রকোনায় ৯৭ মিলিমিটার, রাজারহাটে ৬৮ মিলিমিটার, বরিশালে ৬৬ মিলিমিটার, ডিমলায় ৫৩ মিলিমিটার, সাতক্ষীরায় ৪৬ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ৪২ মিলিমিটার, ঢাকায় ৪৩ মিলিমিটার, সন্দ্বীপ ও মাদারীপুরে ২৪ মিলিমিটার।
এছাড়া সোমবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাঙামাটিতে; ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় টাঙ্গাইলে; ২৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।