ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে কার পার্কিং এর নামে লক্ষীবাজার এলাকায় ১০.০৮ শতক জায়গা বরাদ্দ নিয়েছিল জনৈক বিল্লু নামীয় এক ব্যক্তি। ইজারার টাকা দুই কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা থাকলেও প্রথম কিস্তি পরিশোধের পর সময়মতো দ্বিতীয় কিস্তি পরিশোধ না করায় কর্পোরেশন ১৯৯৫ সালে তার ইজারা বাতিল করে। ইজারা বাতিল করা হলে জনৈক বিল্লু সংক্ষুব্ধ হয়ে দেওয়ানী আদালতে ইজারা বাতিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং কার পার্কিং থাকা অবস্থায় তাকে উচ্ছেদ করার বিপক্ষে আদালত হতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আনতে সক্ষম হন। পরে বর্ণিত কার পার্কিংয়ের জন্য ইজারা নেওয়া জায়গায় জনৈক বিল্লু গড়ে তোলেন অবৈধ মার্কেট। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কর্পোরেশনকে কোন অর্থ পরিশোধ না করলেও বহাল তবিয়তে ভোগ করে আসছিলেন এই অবৈধ সম্পাদলব্দ অর্থ-বিত্ত।
অবশেষে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়।
ডিএসসিসির আওতাধীন অঞ্চল ০৪ এর লক্ষ্মীবাজার এলাকায় কার পার্কিং এ অবৈধভাবে নির্মিত মার্কেটে কাপড়ের দোকান ও কাঁচা বাজার গড়ে তোলা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে আনুমানিক ৪০টি কাপড়েের দোকান ও কাঁচা বাজার গুড়িয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে উচ্ছেদকৃত মালামাল স্পট নিলামের মাধ্যমে উপস্থিত জনগণের সম্মুখে ২১ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। নিলামকারীকে উচ্ছেদকৃত মালামাল আগামী ২৯ জানোয়ারের মধ্যে সরিয়ে নিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়াও, এ সময় উচ্ছেদ স্পটে মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন অপরাধে চার ব্যক্তির কাছ থেকে ৪ মামলায় ১২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়। অভিযানে পুলিশ ও র্যাবের ৬ প্লাটুন সদস্য অংশ নেয়। এ সময় স্থানীয় কাউন্সিলরসহ কর্পোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
উচ্ছেদের নেতৃত্বদানকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে অবৈধভাবে কর্পোরেশনের সম্পত্তি ভোগ দখল করে আসছিলেন। কার পার্কিংয়ের কথা বলে তিনি সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট গড়ে তোলেন। আজ আমরা সেই অবৈধ মার্কেট গুড়িয়ে দিয়েছি।
অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, জনৈক ব্যক্তি পার্কিংয়ের নামে ইজারা নিয়ে সেখানে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণ করে কাঁচাবাজার, কাপড়ের দোকানসহ বিভিন্ন রকমের দোকান গড়ে তুলেছিলেন। তাই, ডিএসসিসির মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে, আমরা আজ আইনানুগভাবে সেই অবৈধ মার্কেটটি গুঁড়িয়ে দিয়েছি। উদ্ধারকৃত জমির আনুমানিক মূল্য অর্ধশত কোটি টাকা।