ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বুঝতে পারছি যে কী হিটের (গরম/তাপদাহ) মধ্যে আছি। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় আমরা দুই লাখ গাছ লাগাব। এর জন্য নগরবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতা চাই। আর যদি কেউ গাছ কাটে, তবে আমি তার হাত কেটে দেব।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর কল্যাণ সমিতির মাঠে আয়োজিত ডিএনসিসি মেয়র’স কাপ টুর্নামেন্ট-২০২৩ এর ভলিবল বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ সিটিকে আমরা কীভাবে আরও বেশি ডিজিটালাইজড করতে পারি, ট্যাক্স অনলাইনে, ট্রেড লাইসেন্স অনলাইনে, রিকশার লাইসেন্স অনলাইনে- এগুলোকে আমরা বেশি ফোকাস করছি, যাতে জনগণের ভোগান্তি কমে যায়। এর জন্য যা যা করা দরকার, সবই করা হবে।
চিফ হিট অফিসার বুশরা আরেফিন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য গর্ব। এশিয়ার মধ্যে বুশরা আরেফিনকে প্রথম চিফ হিট অফিসার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে আমাদের সিটি করপোরেশনের কোনো সম্পর্ক নেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে চিফ হিট অফিসার নামে কোনো পোস্টও নেই। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, সিটি করপোরেশন তার কোনো বেতন ভাতা বা গাড়ির সুবিধা দেবে না। তার জন্য সিটি করপোরেশনে কোনো অফিস বা চেয়ারও নেই।
তার যা যা দরকার সব কিছু আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অ্যার্ডিয়ান আরশট-রকফেলার ফাউন্ডেশনের রেজিলিয়েন্স সেন্টার দেবে, যারা সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সাতজন নারী চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
তিনি বলেন, বুশরা আরেফিন আমার মেয়ে, আমি তাকে বলেছি, বাবা তুমি শক্ত থাকো। বুশরা সম্পূর্ণ নিজের যোগ্যতায় এশিয়ার চিফ হিট অফিসার হয়েছে। সেই সঙ্গে সে ইসলাম গার্মেন্টস গ্রুপের ডিরেক্টর। সে তার নিজের ব্যবসা, কাজ ফেলে রেখে চিফ হিট অফিসার হিসেবে কাজ করবে পুরো এশিয়ার জন্য।
এখানে কার ছেলে বা কার মেয়ে সেটি মুখ্য নয়। সমগ্র এশিয়ার মধ্যে চিফ হিট অফিসার হিসেবে একজন নারী নিয়োগ পেয়েছেন এটা কিন্তু একটি বড় মেসেজ। তাই আমাদের গর্ব করা প্রয়োজন, যে একজন চিফ হিট অফিসার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার একজন নারী।