আংশিক মেঘলা থাকায় ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার আকাশে স্বল্প সময়ের জন্য দেখা দেয় পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। তবে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য জেলাগুলোর অপেক্ষাকৃত উঁচু স্থান থেকে সম্পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে বিকেল ৫টা ৫ মিনিট থেকে চন্দ্রগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় রাত ৮টা ২ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে। সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিটে পূর্ব আকাশের মেঘ সরে যাওয়ার পর কয়েক মুহুর্তের জন্য উঁকি দেয় গ্রহণের চাঁদ। এরপর মেঘের আড়াল থেকে গ্রহণের চাঁদ কয়েকবার দেখা যায়।
ঢাকার আকাশে গ্রহণ প্রত্যক্ষ করার বিষয়টি নিশ্চিত করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘আকাশ মেঘলা থাকায় ঢাকায় গ্রহণটি পুরোপুরি দেখা যায়নি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দুই ঘণ্টাব্যাপী পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণটি দেখা যেত। ’
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের এম্ফেথিয়েটার থেকে বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করার অভিজ্ঞতা পান স্থানীয় বাসিন্দারা। খাগড়াছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা পরিবেশ কর্মী সাথোয়াই মারমা কালের কণ্ঠকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়ি এস্ট্রোনোমিকাল সোসাইটি বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করেছিল। আমরা বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাই। ’
মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ১৬ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপের ওশান ভিউ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে উত্তর প্রশান্ত মহাসাগরে ছিল এর গতিপথ। কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটে বিকেল ৪টা ৫৯ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। পূর্ণগ্রহণ থেকে চাঁদের নির্গমন ঘটে ৫টা ৪২ মিনিটে।
এটি ছিল বছরের শেষ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ, চলতি বছর আরো দুটি চন্দ্রগ্রহণ প্রত্যক্ষ করেছিল বিশ্ববাসী। পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আড়াই বছর, ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত। ওইদিন আবার পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ এক সরল রেখায় অবস্থান করলে পৃথিবীর ছায়া চাদের উপর পড়ে এবং সংগঠিত হয় চন্দ্রগ্রহণ। তিন গ্রণের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে পূর্ণগ্রাস ও আংশিক গ্রাস নির্ধারণ করা হয়।