করোনা (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এবার ঈদুল আজহায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ডিজিটাল পশুর হাটে ১ লাখ গরু কেনাবেচার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মেয়র আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, ‘গত বছরের মতো এবারও আমরা একটা জায়গা ঠিক করেছি। যেখানে ১ হাজার গরুকে কোরবানি দেওয়ার জন্য প্লাটফর্ম প্রস্তুত করেছি। ডিএনসিসির ডিজিটাল হাট প্লাটফর্ম থেকে গরু কিনে ১০ জুলাইয়ের ভেতর বুকিং দিলে, আমরা গরু জবাই দিয়ে তাদের বাসায় মাংস পৌঁছে দেব।’
আজ রবিবার দুপুরে ডিএনসিসি ডিজিটাল পশুহাটের উদ্বোধনী ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর তিন সপ্তাহে ২৭ গরু বেচাকেনা হয় ডিজিটাল হাটে। এবার আমাদের টার্গেট কমপক্ষে ১ লাখ গরু ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে বিক্রি করা। এটা যদি করতে পারি, তাহলে প্রায় ৫ লাখ মানুষ গরুর হাটে যাবে না। এতে সংক্রমণের হার কমাতে পারব।’
ডিজিটাল হাটের প্রতারণা রোধের বিষয়ে মেয়র বলেন, ‘এখানে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ এসেছে। যেমন গতবার চ্যালেঞ্জ এসেছিল, টাকা দেওয়ার পর গরু যদি খারাপ হয় তাহলে কাকে ধরব? এটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা আমাদের স্ক্রো পদ্ধতি দিয়েছে। স্ক্রো পদ্ধতি হলো আপনি গরু কিনবেন আপনার টাকা কিন্তু বিক্রেতা সরাসরি পাবে না। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটা অ্যাকাউন্টে যাবে। আপনি যখন নিশ্চিত করবেন আপনি গরুটা পেয়েছেন এবং গরু ঠিক আছে তারপরই টাকা ছাড় করবে। এই স্ক্রো পদ্ধতিতে নতুন প্লাটফর্মে কাজে লাগবে। কাজেই গরু কেনার পর ঠিক থাকবে না এটা আর হবে না এখন থেকে।’
তিনি জানান, ডিএনসিসি এলাকার লোকজন ছাড়াও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং সাভার থেকেও কেউ চাইলে এই ডিজিটাল হাট থেকে গরু কিনতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসিবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রমুখ।