ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে অন্যতম দর্শনীয় স্থান জাতীয় চিড়িয়াখানা। বাঘ, সিংহ, হরিণ কিংবা ময়ূর দেখতে সেখানে মানুষ ভিড় জমিয়েছেন মিরপুরের এই বিনোদন কেন্দ্রে।
রাজধানীবাসীর বুধবারের সকালটাও শুরু হয় বৃষ্টি বাধায়। দিনের শুরুতে আকাশের অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল দিনভর হয়তো বৃষ্টি ঝরবে। কিন্তু সকাল ৯টার পর আস্তে আস্তে আকাশ পরিষ্কার হতে থাকে। আর তাতে আগে থেকে ঘোরার পরিকল্পনা নেয়া মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে।
দুপুরের পর থেকেই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীর ভিড় বাড়তে থাকে। শিশু থেকে বয়োবৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের আগমনে মুখরিত হয়ে উঠে চিড়িয়াখানা।
চিড়িয়াখানায় আসা কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, তাদের অনুভূতিটা ভিন্ন। সন্তানদের বণ্যপ্রাণী দেখাতে পেরে তারা খুশি।
ভেতরে প্রবেশের পর এক খাঁচা থেকে আরেক খাঁচায় হেঁটে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন পশু দেখছেন। বড়রা তাদের শিশু সন্তানের বিভিন্ন পশুপাখির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। সিংহের খাঁচার সামনে ভিড় ছিল বেশি। পশুর রাজাকে দেখে শিশুদের মনে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণত প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ হাজার দর্শনার্থী ভিড় করে থাকেন। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে সংখ্যাটা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। আর ঈদের ছুটিতে ৮০ হাজার থেকে এক লাখ মানুষের সমাগম হয় জাতীয় চিড়িয়াখানায়।