কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ গরু আসে দেশে। রাজশাহী ও চাঁপাইনবাগঞ্জের সীমান্তপথগুলো এ কাজে বেশি ব্যবহার হয়। করোনার কারণে এবার সীমান্ত দিয়ে গরু প্রবেশ করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীর। এতে কোরবানিতে পশু সংকটের কথা বলছেন কেউ কেউ। তবে সুখবর দিচ্ছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। তাদের মতে, ভারতীয় গরু না এলেও দেশে কোরবানির পশুর কোনো সংকট হবে না।
দেশের খামারিদের কাছে বিপুল পরিমাণ গরু আছে, যা দিয়ে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীতে কোরবানির পশুর চাহিদা আছে ২ লাখ ৭০ হাজার। খামারি পর্যায়ে আছে ৩ লাখ ৮২ হাজার। চাহিদার তুলনায় ১ লাখ ১২ হাজার বেশি পশু আছে। যা দেশের অন্য অঞ্চলের চাহিদার জন্য সরবরাহ করা হবে।
রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইসমাইল হক বলেন, ‘গত তিন বছর থেকে আমরা বলে আসছি, ভারত থেকে গরু নিয়ে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের যে চাহিদা, তা দেশি গরু দিয়ে পূরণ করা সম্ভব। এখন খামারিরা প্রচুর গরু লালন-পালন করছেন।’ রাজশাহীর সবচেয়ে বড় পশুর হাট বসে নগরীর উপকণ্ঠে। ‘সিটি হাট’ নামে পরিচিত এই হাট করোনার কারণে বন্ধ।
হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু জানান, গত বছরও হাটে শেষদিকে কিছু গরু ভারত থেকে এসেছিল। এবার হাটই বন্ধ আছে। যখন হাট চালুর অনুমতি পাওয়া যাবে, তখন বোঝা যাবে গরুর আমদানি কেমন। গত বছর দেশি গরুই ছিল বেশি।