দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দাম ফের বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ চালু করেছে সরকার। ফলে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় কর ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ৭৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া পেট্রোল ও অকটেনের দাম ২ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১০৭ টাকা থেকে এক পয়সা বৃদ্ধি করে ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা, পেট্রলের বিদ্যমান মূল্য লিটার প্রতি ১২৪ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২.৫০ টাকা বেড়ে ১২৭ টাকা এবং অকটেনের বিদ্যমান মূল্য ১২৮.৫০ টাকা থেকে ২.৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুনঃনির্ধারিত এ মূল্য ১ জুন থেকে কার্যকর হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে এ মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানায়, মূল্য সমন্বয়ের পরেও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০.৭৬ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫.৭০ টাকায় এবং পেট্রোল ১০৩.৯৪ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩.৯৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ফলে ভারতের থেকে বাংলাদেশে লিটার প্রতি জ্বালানি তেলের দাম যথাক্রমে প্রায় ১৭.৯৫ টাকা ও ১৬.৯৬ টাকা বেশি।
সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকার প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৭ মার্চ প্রথম প্রাইসিং ফর্মুলা অনুসারে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছিল।
এর আগে ৩০ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়।