খুব একটা পুষ্টিগুন না থাকলেও গো খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা রয়েছে দেশ জুড়ে। গো খাদ্য হিসেবে গ্রামাঞ্চলের খামার গুলোতে শুকনো খড়ের ব্যবহার হয়ে থাকে। কাঠ, লাকড়ি বা খড়ি সহজলভ্য হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে জ্বালানী হিসেবে খড়ের ব্যবহার নেই বললেই চলে। প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বেড়ে যায় খড়ের চাহিদা।
ধান মাড়াইয়ের নতুন মৌসুম শুরু হওয়ার দুই থেকে আড়াই মাস আগে থেকেই শুকনো খড়ের চাহিদা বেড়ে যায়। যমুনার বন্যা কবলিত এলাকা ও নিম্নাঞ্চলের গরু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে খড় সংগ্রহ করে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীরাও চড়া দামে খড় বিক্রি করার জন্য নিম্নাঞ্চল এলাকা গুলোতে ফেরি করে বেড়ায়।
নিম্নাঞ্চলে মৌসুমি বন্যার আশংকায় বগুড়ার ধুনটে টান পড়েছে গ্রামাঞ্চলে খড়ের বাজারে। অনেক গৃহস্থরা সংসারের নানা প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে খড় বিক্রি করতে শুরু করেছে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে বাজারে।
গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে দ্বিগুন বেশি খড় উঠতে শুরু করেছে বাজারে। যমুনা নদীর ওপার থেকে এসে খড় ক্রয় করে নৌকা যোগে অন্যত্র বিক্রি করতে হামেশায় ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে ব্যবসায়ীরা। অধিকাংশ বাজারে খড়ের আমদানি কম ও দাম বেশি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন মধ্যবৃত্ত পশু পালনকারিগন। ধান মাড়াইয়ের মৌসুম না আসা পর্যন্ত খড়ের দাম বৃদ্ধি থাকতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।