মাত্র মাসখানেক আগের কথা। কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনাও দেখা গেছে। নিম্ন আয়ের মানুষ শুধু দূর থেকে দেখেছেন, অস্বাভাবিক দামের কারণে রসালো এই ফলটি কিনে খেতে পারেননি। গলাকাটা দাম হাঁকানো সেই তরমুজ এখন ব্যবসায়ীদের ‘গলার কাঁটা’। বিক্রি করতে না পেরে ফেলে দিচ্ছেন নদীতে!
একদিকে রমজান, অন্যদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে মাসখানেক আগে ব্যাপক চাহিদা ছিল তরমুজের। সুযোগ পেয়ে সিন্ডিকেট করে ক্রেতাদের ভুগিয়েছেন বিক্রেতারা। একটি মাঝারি সাইজের তরমুজ কিনতে হয়েছে ৫০০-৬০০ টাকায়। সেই দৃশ্যপট এখন সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ফলটির চাহিদা ঠেকেছে তলানিতে।
শনিবার (১৪ মে) তরমুজ নদীতে ফেলে দেওয়ার এমন দৃশ্য দেখা গেছে সিলেট নগরের সবচেয়ে বৃহৎ ফলের আড়ৎ কদমতলীতে। ব্যবসায়ীরা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছেন! ঈদের সময়ও দাম দেখে ২০-২৫ লাখ টাকার করে তরমুজ কিনেছিলেন কোনো কোনো ব্যবসায়ী। ব্যবসা তো দূরে থাক, এখন সেই টাকার অর্ধেক তুলে আনাও সম্ভব নয়।