পবিত্র শবে বরাত, গরুর মাংসসহ বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এক সপ্তাহ আগে গরুর মাংস স্থানভেদে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায় বিক্রি হলেও আজ (শুক্রবার) তা ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া হালুয়া তৈরির আরেকটি অনুসঙ্গ গাজরসহ বিভিন্ন সবজির দামও বেড়েছে। বেড়েছে মুরগির দামও। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আটা, ময়দা, চিনি ও দুধের দাম।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর উত্তর বাড্ডার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
শবে বরাতের রাতে বাঙালি মুসলিমদের মধ্যে ভালো খাবার আয়োজনের রীতি রয়েছে। এদিন অনেকে হালুয়া রুটি, গরুর মাংসসহ সাধ্য অনুযায়ী ভালো ভালো রান্না করে থাকেন। সেসব খাবার গরিবদের দেওয়া ছাড়াও পাড়া-প্রতিবেশীদের মধ্যে দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। এ জন্য এ রাত উপলক্ষে অনেকেই ভালো কিছু রান্না করেন। আর এই সুযোগটাই নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গরুর মাংসের দোকানে ভিড় লেগেই আছে। উত্তর বাড্ডার কাঁচাবাজারের মাংস ব্যবসায়ী নুরুল হক বলেন, আজ গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তবে দাম কেন বাড়ছে এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি তিনি। বরং বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, আপনি কি একমণ মাংস নেবেন?
সেখানে এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। বাড্ডার তেঁতুলতলার বাসিন্দা মো. রিপন মিয়া একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মাংস না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম শবে বরাতের রাতে চালের রুটির সঙ্গে মাংস খাবো। এটা বিশেষ করে বাচ্চাদের দাবি। কিন্তু বাজারে এসে দেখি মাংসের দাম বেড়ে গেছে। এতো দাম দিয়ে মাংস কেনা সম্ভব না।
রিপন মিয়া চলে গেলেও অনেকেই মাংস কিনছেন। বিক্রেতার যেন দমফেলার ফুরসত নেই। তবে অনেকে এক বা দুই কেজি মাংস কেনার জন্য এলেও কেউ কেউ আধাকেজিও কিনছেন।
অন্যদিকে গাজরের দামও দ্বিগুণ হয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও আজ তা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গুলশান গুদারাঘাটের সবজি বিক্রেতা জনি এ বিষয়ে বলেন, এখন তাও কিনতে পারছেন। দুদিন পর ৬০ টাকা দরে কিনতে হবে।
এদিকে বাজারে খোলা চিনি ৮০ টাকা, আটা ৩৫ টাকা, সুজি ৮০ টাকা কেজি, ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ টাকা, ডিমের ডজন ১১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
পাকিস্তানি মুরগির দামও কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আগে ৩০০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবার ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম নেওয়া হচ্ছে ১৬৫ টাকা কেজি।