সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তাদের সর্ববৃহৎ সংগঠন উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই)। ২০১৭ সালে যাত্রা শুরু করা এ সংগঠনের সদস্য সংখ্যা ১৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এটি পিছিয়ে পড়া নারীদের উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে উদ্যোগী ও উদ্যমী ভূমিকা পালন করছে। আর এর পেছনে মূল কারিগর হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশা। সেজন্য নাসিমা-সহ ‘উই’ এর সকল নারী উদ্যোক্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সাধুবাদ জানাই।
প্রতিমন্ত্রী আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) এর নবরাত্রি হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ এর সহযোগিতায় উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) আয়োজিত দুই দিনব্যাপী (৬-৭ অক্টোবর) ‘৪র্থ উই সামিট ২০২৩’- এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার নিশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি এবং বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) জি এস এম জাফরুল্লাহ এনডিসি।
প্রধান অতিথি বলেন, ‘উই’ উৎসাহ ও উদ্দীপনা প্রদানের মধ্য দিয়ে আমাদের নারী সমাজকে জাগ্রত করেছে। রক্ষণশীলতা ও মৌলবাদকে রুখে দিয়ে নারীদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ করে দিয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই অর্থনীতি গড়তে দেশে বেশিসংখ্যক উদ্যোক্তা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। তাই উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও আত্মমর্যাদা সৃষ্টিতে ই-কমার্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আর ই-কমার্সেরই একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ‘উই’। জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, করোনাকালীন সময়ে ই-কমার্স ছিলো আমাদের অর্থনীতির লাইফলাইন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, ‘শী পাওয়ার’ প্রজেক্টের মাধ্যমে ২১টি জেলায় ১০ হাজার ৫০০ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়েছে। বাকি ৪৩টি জেলায় ‘হার পাওয়ার’ প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দিয়ে আরও ২৫ হাজার স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কন্ট্রোলার অব সার্টিফাইং অথরিটিজ এর নিয়ন্ত্রক (যুগ্মসচিব) এ টি এম জিয়াউল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন বিশ্বব্যাংক এর অপারেশন ম্যানেজার গেইল মার্টিন, দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার খন্দকার তাসফিন আলম, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর পরিচালক ব্যারিস্টার তাসনিম মোস্তফা ও উই’র উপদেষ্টা কবির সাকিব। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন উপস্থাপিকা শান্তা জাহান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর উপর নির্মিত ‘মুজিব আমার প্রেরণা’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। তাছাড়া উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরাম (উই) এর কার্যক্রম এবং ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ক তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।