জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত কিছু মজুতদারকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। সারাদেশে বাকি মজুতদারদেরও চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। এসব মজুতকারীকে আইনের আওতায় এনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ভোক্তা-অধিকারবিষয়ক সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ভোক্তার ডিজি বলেন, এরই মধ্যে বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা করছি।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দামবৃদ্ধির পেছনে জড়িত কিছু মজুতাদারকে এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং বাকি মজুতদারদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছে। খাতুনগঞ্জ ও শ্যামবাজারে কারা পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছিল এবং কীভাবে গুদামে সাজানো পেঁয়াজ উধাও হয়ে গেলো তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এর আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে ভোক্তা-অধিকার বিষয়ক এক বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। রানাআপ হয়েছে ইডেন মহিলা কলেজ।
এসময় চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যায় যে, কালোবাজার সরকারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। আমি আশা করি, যারা বিভিন্ন স্থানে পেঁয়াজ লুকিয়ে রেখেছেন তারা লোকসান এড়াতে চাইলে দ্রুত বাজারে পণ্য সরবরাহ করবেন।