কারিমুল হাসান লিখন, ধুনটঃ শীতকালিন সবজি হিসেবে পরিচিত হলেও বর্তমানে সারা বছরই চাহিদা থাকে মৌসুমি সবজি টমেটোর। বগুড়ার ধুনট উপজেলা জুড়ে প্রত্যেক এলাকা জরিপ করলে দেখা যায় চলতি মৌসুমে টমেটোর চাষ করেনি এমন কৃষি ভিত্তিক গ্রাম নেই বললেই চলে। স্থানীয় ছোট বাজারে টমেটো বিক্রি করার পাশাপাশি অধিক লাভের প্রত্যাশায় সৃষ্টি হয়েছে বেশ কিছু বড় বাজার। যার মধ্য উপজেলার চৌকিবাড়ী ইউনিয়নের পাঁচথুপী বাজার পাইকারী সবজি বিক্রির জন্য বেশ পরিচিত। স্থানীয় কৃষিজীবী ছাড়াও সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার আশে পাশের ইউনিয়ন থেকেও সবজি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য আসে অনেকে। সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত চলে জমজমাট কেনাবেচা।
স্থানীয় বাজারে চলতি মৌসুমে শীতকালিন সবজির চাহিদা বেশি থাকলেও অন্যান্য সবজির চেয়ে গত বছরের তুলনার টমেটোর দরপতনের আশংকা করছে প্রান্তিক চাষীরা। একজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি মন টমেটোর বর্তমান সর্বোচ্চ বাজার ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২শ টাকা এবং সর্বনিম্ন বাজার ১ হাজার ৪শ থেকে ১ হাজার ৬শ টাকা। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটা কম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, কুয়াশার কারনে টমেটোর উপরের অংশে পানি জমে পচন সৃষ্টি হওয়া এবং নরম জাতীয় সবজি হিসেবে বাজারজাত করনে সঠিক ব্যবস্থাপনা না করার কারনে যেমন দাম কমতে পারে ঠিক তেমনি প্রত্যেক এলাকাতে পর্যাপ্ত চাষাবাদ থাকার কারনেও দাম কমতে পারে। এক্ষেত্রে শহরমূখী বাজারজাত করতে পারলে দাম কম হলেও লাভবান হওয়া সম্ভব।
সরজমিনে দেখা যায়, ঢাকাসহ আশেপাশের বেশ কিছু জেলার পাইকারী ব্যবসায়ীগন বাজার দিন সকাল থেকেই সবজি কিনে স্থানীয় লোটারের সহযোগিতায় ট্রাকে ভর্তি করে। পরে সেগুলো দেশের বিভিন্ন শহরের আড়ৎ ভিত্তিক বাজারের বিক্রি হয়। ক্রেতা বিক্রেতার নিরাপত্তাসহ নানা সুযোগ সুবিধা সৃষ্টির লক্ষে উভয়ের জন্য খাজনা নামের অর্থ জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। উপজেলার গোসাইবাড়ী, সোনাহাটা, সোনামুয়া, এলাঙ্গীসহ সর্বপরি প্রায় সব বাজার গুলোতে কেনাবেচায় সন্তুষ্ট ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের কাছে সমস্যার বিষয়টা একটু ভিন্ন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু ব্যবসায়ী জানান, বাজার গুলো সুশৃঙ্খল ভাবে পরিচালনা করলেও দালাল চক্র থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। দালাল চক্র নেই এমন বাজার খুজে পাওয়া দুষ্কর।