প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে বাড়ছে পণ্যটির দাম। ১৪ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে ৩৭ টাকা বিক্রি হলেও বিকেলে দাঁড়ায় ৪৫ টাকা।
১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার মানভেদে ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৫০-৬০ টাকা। ভারতে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় দাম মাত্রাতিরিক্ত বাড়বে এমন আশঙ্কায় খুচরা বিক্রেতা ও মুদির দোকানিরা ভিড় করছেন খাতুনগঞ্জের আড়তে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে বিয়ে, মেজবান, ওরসের দিন নির্ধারিত আছে এমন অনেক গ্রাহকও আড়ত থেকে পেঁয়াজ কিনে রাখছেন।
খাতুনগঞ্জের মেসার্স মোহাম্মদিয়া বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী মিন্টু সওদাগর জানান, আজ ৫-৬ ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে বিভিন্ন আড়তে। তবে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। সরবরাহ না বাড়লে দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি জানান, রোববার সকালে ৩৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে ভারতের পেঁয়াজ। বিকেলে দর উঠে ৪৫ টাকায়। সোমবার সকাল থেকে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয় আড়তে।
এদিকে পাইকারি বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খুচরা বাজারেও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। খুচরায় ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ।
একজন আমদানিকারক জানান, চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা আদা-রসুন আমদানি করলেও সচরাচর পেঁয়াজ আমদানি করেন না। তবে সংকট কালে মিশর, চীন, তুরস্ক, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করেন। পেঁয়াজের ব্যবসাটা ভারতের স্থলবন্দর কেন্দ্রিক আমদানিকারক ও বেপারীরা নিয়ন্ত্রণ করেন। এখন পরিস্থিতি বুঝে বিকল্প দেশ থেকে আমদানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকে।
টিসিবি চট্টগ্রামে ১০টি ট্রাকে পেঁয়াজ, চিনি, মশুর ডাল ও সয়াবিন তেল বিক্রি করছে। টিসিবির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক প্রধান জামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রতি ট্রাকে ৩০০ কেজি করে পেঁয়াজ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতি ২ কেজি থেকে কমিয়ে ১ কেজি করে দিতে বলেছি। আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত ট্রাক সেলের সিদ্ধান্ত রয়েছে। এরপর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতাদের ভিড়
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন