চলছে ২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। গত ২১ জানুয়ারি (রোববার) রাজধানীর উপকণ্ঠে পূর্বাচলে ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এ এই মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর গতকাল শুক্রবার ছিলো প্রথম ছুটির দিন। এই দিনে মেলায় প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় দেখা গেছে। মেলায় দেশীয় অ্যারিস্টক্র্যাট ইলেক্ট্রনিক্স ব্র্যান্ড ভিসতার প্যাভিলিয়নেও ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় ছিলো চোখে পরার মতো। শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ভিসতা প্যাভিলিয়ন পরিদর্শনে যান ভিসতার পরিচালক ও নিরাপদ সড়ক চাই এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
ভিসতার স্ট্রলে এসময় ইলিয়াস কাঞ্চনকে শুভেচ্ছা জানান, ভিসতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ। সাথে ছিলেন, ভিসতা ইলেক্ট্রনিক্স এর কর্পোরেট সেলস এ্যাডভাইজার এস এম আজাদ হোসেন ও ভিসতার এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর ও বিপনণ হেড তানভীর জিহাদ।
ইলিয়াস কাঞ্চন উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে মেলা প্রাঙ্গণে ভিসতার স্টলের সামনে প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় জমে যায়। এসময় ভিসতার বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হয় এবং ইলিয়াস কাঞ্চন গ্রাহদের হাতে কিছু পণ্য সে সময় হস্তান্তর করেন।
ভিসতার ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হোসেন আকাশ বলেন, ‘মেলা শুরুর দিকে একটু ক্রেতা কম হয়েছে। সেটা বিভিন্ন কারণে। মাসের শেষ, বেশি শীত ছিল। এখন শীতটা কমেছে। শুক্রবার ছুটির দিন। প্রচুর ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন। আমাদের বিক্রিও ভালো।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের অর্থনীতি এখন চাঙ্গা হওয়ার পথে। ধারাবাহিক উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। বাণিজ্যমেলা আরও জমবে। মেলা উদ্বোধনের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিসতা প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছেন এবং আজ ইলিয়াস কাঞ্চন পরিদর্শনে এসছেন। তিনি ঘুরে বিভিন্ন স্টল-প্যাভিলিয়ন পরিদর্শন করেছেন। প্রতিদিনই বিশিষ্টজনেরা আসছেন। দর্শনার্থীরা যেমন এসে ভিসতা প্যাভিলিয়ন দেখছেন, তেমনি কেনাকাটাও করছেন।
প্রসঙ্গত, পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে শুরু হয় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) সূত্রে জানা গেছে, এ বছর দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মোট ৩৩০টি, যা গত বছর ছিল ৩৩১টি। এবারের মেলায় ভারত, পাকিস্তান, হংকং, তুর্কিসহ অন্তত ১৮ থেকে ২০টি দেশ থেকে ব্যবসায়ীরা মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। এ আসরে মেলার প্রধান ফটকটি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু টানেলের আদলে। গত আসরে মেলার বড়দের প্রবেশ ফি ৪০ টাকা থাকলেও এবার তা ৫০ টাকা করা হয়েছে। আর শিশুদের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা ধরা হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রবেশ ফ্রি করা হয়েছে।