রাজধানীসহ সারা দেশে হঠাৎ বাড়তে থাকে ডিমের দাম। এসময় দেশের খুচরা বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হয় ৫৫ টাকার বেশি দামে। তবে সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার কমতে শুরু করে ডিমের দাম। এখন ঢাকার খুচরা বাজারে হালিপ্রতি ডিম মিলছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০২২ অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় দুই হাজার কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। যা দেশে উৎপাদিত ডিম দিয়েই চাহিদা মেটে।
আজ রাজধানীর বাজারে খুচরা পর্যায়ে ফার্মের মুরগির লাল রংয়ের ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১২০-১২৫ টাকায়। আর সাদা রঙের ডিমের দাম ডজন প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কম। এছাড়া দেশি হাঁস ও মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ডজন প্রতি ১৬০-১৮০ টাকায়।
ডিমের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ কম থাকায় মাঝে হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যায়। তখন বেচা-বিক্রি কমে যায়। তিন-চার দিন হলো দাম কমে আগের অবস্থায় চলে এসেছে। দাম কমায় বেচাকেনাও ভালো।
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) তথ্য বলছে, দেশে প্রতিদিন চার কোটির বেশি ডিম উৎপাদিত হয়। উৎপাদিত এসব ডিমের বড় অংশ আসে গ্রামের খামার থেকে। পচনশীল পণ্য হওয়ায় এসব ডিম দ্রুত পরিবহন করে দেশের বড় বাজারগুলোতে নিয়ে আসা হয়। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে পরিবহন ব্যয়। কিন্তু তার প্রভাব ডিমের ওপর খুব বেশি পড়ার কথা না থাকলেও ডিমের দাম হালিতে ১৫ টাকার বেশি বেড়ে যায়।
খামারিরা বলছেন, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়েছে। লোকসানে পড়ে অনেক খামারি মুরগির সংখ্যা কমিয়ে দিচ্ছেন।