নাসিম রুমি: সীমিত ও স্বল্প আয়ের মানুষের পুষ্টির বড় অংশ আসে ফার্মের মুরগির ডিম থেকে। সেটির দামও এখন লাফিয়ে বাড়ছে। বস্তুত গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ডিমের বাজারে অস্থিরতা চলছে।
ফলে নিম্নআয়ের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ডিমের বাজারে নতুন করে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। এখন রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায়, যা কয়েকদিন আগেও ছিল ১৫০ টাকা।
ডিমের দামে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেলেও নীরব ভূমিকা পালন করছে তদারকি সংস্থাগুলো। কিছুদিন আগেও একটি ডিমের দাম ছিল ১২ টাকা; এখন তা ক্রয় করতে লাগছে ১৪-১৫ টাকা। এতে গরিব মানুষের হতাশা বাড়ছে। এদিকে বাজারে চাল, চিনি, মসলাসহ প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে।
এ পরিস্থিতিতে কেবল নিম্নবিত্তই নয়, মধ্যবিত্তও দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সামর্থ্য না থাকায় খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন মাছ-মাংস কিনতে পারছেন না। বস্তুত যারা পুষ্টির জন্য ডিমের ওপর নির্ভরশীল, তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
দাম বেড়ে যাওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে ভাঙা ডিমের চাহিদা বেড়েছে। ফলে ভাঙা ডিমের দামও বেড়ে গেছে। প্রশ্ন হলো, নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা না কমলে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার উপায় কী?