রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় জমে উঠেছে কোরবানির মাংসের বাজার। এসব বাজারে অন্যান্য দিনের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস।
পেশাদার ও মৌসুমি কসাইরা পশু কোরবানি ও মাংস কাটার কাজ করে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক মাংস পেয়ে থাকেন। তারা নিজেদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত মাংস এসব বাজারে বিক্রি করেন। অন্যদিকে, কিছু মানুষ সারা দিন বিভিন্ন বাসায় গিয়ে মাংস সংগ্রহ করে এ বাজারে বিক্রির জন্য আসেন। যারা সামর্থ্যের অভাবে বা অন্য কোনো কারণে পশু কোরবানি করতে পারেন না, তারা এসব বাজার থেকে অল্প দামে মাংস কিনে থাকেন। তাই, এসব বাজারে মাংস বেচাকেনা করে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই খুশি।
বুধবার (২১ জুলাই) ফার্মগেটের খামারবাড়ি মোড়ে এবং বিকেলে মিরপুর-১ এ শাহ আলীর মাজারের সামনে এমন কোরবানির মাংসের বাজার দেখা গেছে। রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও প্রতিবছর কোরবানির ঈদের দিনে এমন বাজার বসে।
খামারবাড়ি মোড়ে মাংস বিক্রেতা আশরাফ আলী বলেন, ‘গাজীপুর থেকে আমরা চারজন ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে এসে দুটি গরুর মাংস কাটার কাজ করি। সেখান থেকে বেশকিছু মাংস পেয়েছি। সেগুলোই এখানে বিক্রি করছি।’
আরেক মাংস বক্রেতা মো. আসাদ বলেন, ‘আমি শাকসবজির ব্যবসা করি। আজ কোরবানির দিন হওয়ায় বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে মাংস চেয়ে এনে এখানে বিক্রি করছি।’
খামারবাড়ি মোড়ের এই বাজারে শতাধিক মাংসের দোকান আছে। এসব দোকানে হাড়সহ মাংস ২০০ টাকা এবং শুধু মাংস ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কম দামে মাংস কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতা সাধারণ।
নাখালপাড়া থেকে মাংস কিনতে আসা ইদ্রিস মিয়া বলেন, ‘ভাই, আমার কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য নেই। এ কারণে এখানে দুই কেজি মাংস কিনতে এসেছি।’
রিকশাচালক বারেক হোসেন বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা মাংস খেতে চায়। কোরবানি তো আর দিতে পারি না, তাই এখানে মাংস কিনতে এসেছি।’ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুধু খামারবাড়ি মোড়ে নয়, হাতিরঝিল, মালিবাগ, খিলগাঁও, মিরপুর-১, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, পুরান ঢাকার কয়েকটি এলাকায় এ ধরনের বাজার বসেছে।