দুই সপ্তাহ আগে পাইকারি বাজারে মণপ্রতি খোলা চিনির দাম বেড়েছিল ১৫০ টাকা। সেসময় খুচরা দোকানে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৮৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এখন পাইকারিতে বর্ধিত দাম কমলেও খুচরায় ৯০-এ আটকে আছে চিনির দাম। এছাড়া খুচরা বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও এলাকার মুদিদোকান ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লার অধিকাংশ দোকানে খুচরা এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। যদিও কিছু কিছু এলাকার বাজারে চিনির দাম ২-৩ টাকা কমও রাখা হচ্ছে। তবে সেগুলো ওই বাজারের স্থানীয় পাইকারি দোকান।
অন্যদিকে, রাজধানীর পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারে পাইকারি পর্যায়ে মণপ্রতি (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) চিনি বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০ টাকা দরে। যা এক সপ্তাহ আগেও ২০০ টাকা বেড়েছিল। সে হিসাবে পাইকারিতে প্রতি কেজি চিনি সর্বোচ্চ ৮২ টাকা পড়ছে। যা খুচরায় এসে ৮ টাকা ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে।
তারপরেও কেন চিনির দাম কমেনি এ বিষয়ে মালিবাগ মাটির মসজিদ এলাকায় সালেহ্ হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, পাইকারিতে কমেছে। কিন্তু যে চিনি খুচরায় বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আগের বাড়তি দামে কেনা। নতুন করে চিনি এলে দাম সমন্বয় করে বেচা হবে।
পাইকারিতে পণ্যের দাম কমলে সেটি সমন্বয়ে এমন অজুহাত খুচরা বিক্রেতারা সব সময় দেখান। কিন্তু দাম বাড়লে তারা সে পণ্যের দাম সঙ্গে সঙ্গে বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করেন বলে সেখানে অভিযোগ করেন খালেদা ইসলাম নামে এক ক্রেতা।
মৌলভীবাজারের চিনি ব্যবসায়ী আবুল হাসেম জানান, ডলার রেট ও বিশ্ববাজারে দামের কারণে বাজার অস্থির ছিল। সেটি পুরোপুরি না কাটলেও কিছুটা দাম কমেছে এখন। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে দাম না কমায় সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে পরিবহন ও অন্যান্য খরচের হিসাব ধরে রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা চিনির দামে ব্যবধান থাকে। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফা প্রবণ হওয়ায় এখন ব্যবধান ৭ থেকে ৮ টাকা দাঁড়িয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী— একমাস আগেও বাজারে প্রতি কেজি চিনির দাম ছিল ৮০ থেকে ৮২ টাকা। যা এ সময়ের ব্যবধানে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। আর বছর ব্যবধানে বেড়েছে ১১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত বছর এ সময় চিনির কেজি ৭৭ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে ছিল।