গাজীপুরের সুস্বাদু রসালো লিচুর কদর রয়েছে দেশ জুড়ে। এ কারণে জেলার সদর, কাপাসিয়া, শ্রীপুর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় বেড়েছে লিচু চাষ। যদিও বেড়েছে উৎপাদন খরচ। অনাবৃষ্টি, দাবদাহ ও সর্বশেষ ঝড়-বৃষ্টিতে ক্ষতি হলেও এবার জেলায় ফলন ভালো হওয়ায় লিচু চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।
লিচুচাষ থেকে আয়ের মাধ্যমে নিজেরা লাভবান হতে ও গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করতে এখন ভালো দাম পেতে চান তারা। জেলায় সাধারণত বোম্বাই, বেলারি ও চায়না-৩ এই তিন ধরনের লিচু উৎপাদন হয়।
এখন গাছ থেকে লিচু সংগ্রহ করে বাজারে পাঠাতে ব্যস্ত চাষিরা। শেষ মুহূর্তে বাগান থেকে সংগ্রহ করা লিচু বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজার থেকে শুরু করে যাচ্ছে রাজধানীতে। এমনকি অন্যান্য জেলায়। এখন ভালো দাম পাওয়ার আশায় রয়েছেন চাষিরা।
স্থানীয় চাষিরা বলছেন, এবার প্রচুর ফলন হলেও উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবং প্রচণ্ড গরম জনিত কারণে ও রেমালের কারণে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
তারা আরও বলেন, লিচু পরিপক্ব হওয়ার পর গাছে বেশি দিন রাখা যায় না। লিচুর মৌসুমও হয় সংক্ষিপ্ত। একসঙ্গে সব লিচু বাজারে আনা হলে আশানুরূপ দাম পাওয়া যায় না। লিচু সংরক্ষণে সরকার উদ্যোগ নিলে চাষি-ব্যবসায়ী-ভোক্তা সবাই উপকৃত হবেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান জানান, গাজীপুরের লিচু রসালো ও স্বাদের ভিন্নতা থাকায় এ লিচুর চাহিদাও বেশি। কয়েক বছর ধরে জেলায় বাণিজ্যিকভাবে লিচু উৎপাদন বাড়ছে। লাভজনক হওয়ায় লিচু চাষ বেড়ে বর্তমানে জেলা জুড়ে প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এবার এসব বাগান থেকে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টন লিচু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে ৩০ থেকে ৪০ কোটি টাকার বাণিজ্যিক ফলন হচ্ছে। ভোক্তা পর্যায়ে বিষমুক্ত লিচু পৌঁছার ব্যাপারে আমরা প্রথম থেকেই নজর রেখেছি।