দীর্ঘ ১১ দিন পর খুলেছে রাজধানীসহ সারা দেশের শপিংমল, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আজ সকাল ১০টায় রাজধানীর বড় বড় শপিং মল, বিপনিবিতান ও মার্কেটগুলো খোলেন ব্যবসায়ীরা।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে পারবেন। সরজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি মার্কেটের প্রবেশপথে নিরাপত্তা রক্ষীরা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ করছেন। মাস্ক পরা নিশ্চিতের পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন। এসময় ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ক্রেতারা মাস্ক পরে মার্কেটে প্রবেশ করছেন।
এদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় আজ সকাল থেকে রাজধানীর প্রতিটি সড়কে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যান ও রিকশা-অটো রিকশার চলাচল বেড়েছে।
এতে বেশ কয়েকটি সড়কে যানজট লেগে যায়। এর আগে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু ঠেকাতে গত ১৪ই এপ্রিল থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিসের পাশাপাশি গণপরিবহন, শপিংমল, দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেয়ার বিশেষ ঘোষণা আসে সরকারের তরফে। ২৩শে এপ্রিল এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদিকে ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন শেষ হলে ২৯শে এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলতে পারে- এমন আভাস দিয়েছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। তারা বলছেন, আগামী বুধবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল এক অনলাইন ব্রেফিংয়ে জানিয়েছেন, দেশে চলমান লকডাউনের পরে জনস্বার্থ বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। গণপরিবহনে অর্ধেক আসন খালি রেখে আগে যে ভাড়া নির্ধারণ ছিল, সেই ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, চলমান ‘লকডাউন’ ২৮শে এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকছে। দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধীরে ধীরে সবকিছু খোলার কথা চিন্তা করছে সরকার। গণপরিবহন চালুর বিষয়টি সিদ্ধান্তের পর্যায়ে আছে। আগামী ২৮শে এপ্রিল এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আমাদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করতে হবে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সেটা করা হবে। যেভাবে আস্তে আস্তে বন্ধ হয়েছে, সেভাবে আস্তে আস্তে সব খুলবে।