দেশের উত্তরাঞ্চলের কাঁচা সবজির বাজার আরো ঊর্ধ্বমুখী। সাধারণ ক্রেতারা অস্বাভাবিক দামের কাঁচা তরকারি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
সরজমিনে ঘুরে রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা শহরের বাজারসহ গ্রাম অঞ্চলে দেখা যায়, শীতকালিন সবজি পোটল ৬০-৬৫ টাকা, শিম ১২০-১৩০ টাকা ও মুলা ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এসব সবজি এখনও পরিপক্ক না হলেও বেশি দামের আশায় চাষিরা বাজারে বিক্রি করছে।
এছাড়া বরবটি ৬০-৬২ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৪৫ টাকা, কাঁকরোল ৬০-৬৩ টাকা, ঝিঙা ৪০-৪২ টাকা, পটল ৬০-৬৪ টাকা, বেগুন ৮০-৮৩ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৫৯ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৩৫-৪২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০-৩৩ টাকা, লাউ ৩০-৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৩০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা, কাঁচা কলা ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়।
এসব বাজারে মাছের দাম বরাবরই একই রকম আছে। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১০০/১২০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, রুই ১৩০-১৫০ টাকা, কাতলা ১২০-২০০ টাকা, মৃগেল ১২০/১৬০ টাকা, ইলিশ মাছ প্রকার ভেদে দামে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেশি রসুন ১২০ টাকা ও পেঁয়াজ ৮০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে।
রংপুর কাঁচা বাজারে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতাদের কাছে কোনো সবজি ও মালামালের দাম চাওয়া যাচ্ছে না। এতো বেশি দাম হলে কিভাবে দাম চেতে হয়।
এদিকে ছাইতানতলা বাজারের বাবলু মিয়া ব্যবসায়ী জানান, আমরা মাল কিনতে পারছি না। যেভাবেই কিনছি, সেইভাবেই বিক্রি করছি। এই ঊর্ধ্বমুখির বাজারে আমাদের মাথা ঠিক নেই। তো ক্রেতাদের মাথা ঠিক থাকে?
ছাইতানতলায় বাজার-সদয় করতে আসা ডিসিবস্তি রাসেল মিয়া। তিনি পেশায় একজন ভ্যান চালক। সারাদিন ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার হয়েছে তা বাজার-সদয় করতে শেষ হয়ে গেছে। তিনি আবেগঘন অবস্থায় জানান, মনে হয় কাইলকে থাকি ভাতোত পানি দিয়ে খাওয়া নাগবে।
তিনি আরো জানান, আজ তরকারির এতো দাম? যে তরকারি ধরায় যাচ্ছে না। এরকম বহু অল্প আয়ের মানুষ তরকারির বাজারে যেয়ে তরকারি কিনতে হিমশিম খাচ্ছে।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন