শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রভাবশালী ও সিন্ডিকেটের চাপমুক্ত হতে চায় বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেছেন, আমরা চাপমুক্ত হতে চাই তোমাদের (শিক্ষার্থী) মাধ্যমে।
তোমাদের হাত এত শক্তিশালী হয়েছে, তোমরা যেখানে হাত দেবে, সেখানেই সোনা ফলবে। আমরা আসলেই ব্যর্থ হয়েছি। এখন তোমাদের নিয়ে স্বপ্ন দেখি।
রোববার (১১ আগস্ট) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভোক্তার ডিজি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার তদারকিসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ের লক্ষ্যে আন্দোলনের সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, আমাদের পেছন দিকে তাকালে হবে না, আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি দপ্তরগুলোকে অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হবে এবং সেটি স্বীকার করার সৎ সাহস রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। অনেক কিছু চাইলেই বলা যায় না। এরপরও আমি অনেক জায়গায় জনসমক্ষে বলেছি, যেখানেই হাত দিচ্ছি সেখানেই অনিয়ম পাচ্ছি। একটি সরকারি দপ্তরে থেকে এমন কথা বলা, তা এখন হয়তো তোমাদের (শিক্ষার্থী) কাছে স্বাভাবিক। কিন্তু ওই সময় (বিগত সরকারের আমল) স্বাভাবিক কোনো বিষয় ছিল না।
ডিজি বলেন, তোমরা ট্রাফিক কন্ট্রোল করছো। তোমরা কয়দিন ধরে বাজার মনিটরিং করছো। তাই আমার মনে হয়েছে তোমাদের সঙ্গে বসা দরকার। তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেব। আমি অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। মাংস, ডিম, ডায়াবেটিস স্ট্রিপ, শিশুখাদ্য নিয়ে কাজ করেছি। অনেক কথা বলেছি, অনেক নথি আছে। সেই নথি আমি তোমাদের হাতে তুলে দেব।
ভোক্তার ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিতি ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণা) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মিজানুর রহমান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বিন ইয়ামিন মোল্লাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।