English

25 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
- Advertisement -

আগামীকাল থেকে ভুর্তুকি মূল্যে তেল আলুসহ চার পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি: বাণিজ্য সচিব

- Advertisements -

আগামীকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ৩০টি ট্রাকে করে সাশ্রয়ী মূল্যে সয়াবিন তেল, ডাল, আলু ও পিঁয়াজ বিক্রি করবে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবি। দুই সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা এই সুবিধা নিতে পারবেন না।

প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা, পিঁয়াজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা, প্রতি কেজি মশুর ডাল ৬০ টাকা এবং সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১০০ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে। একজন ক্রেতা এসব পণ্য সর্বোচ্চ দুই কেজি করে ক্রয় করতে পারবেন। পণ্য সরবরাহের উপর ভিত্তি করে ট্রাকসেলের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলেও জানান সিনিয়র সচিব।

আজ সকালে সচিবালায়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, রাজধানীতে অনেক দরিদ্র ভাসমান মানুষ বসবাস করছেন যাদের জাতীয় পরিচয় পত্র গ্রামের ঠিকানায় করা। এজন্য তারা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের কথা চিন্তা করে সরকার খোলা বাজারে তেল-ডাল-আলু ও পিঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ট্রাকে করে কতদিন বিক্রয় চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এভাবে খোলা বাজারে এসব বিক্রি করবে টিসিবি। সম্প্রতি দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যাতে করে নিম্ন আয়ের এবং ভাসমান মানুষ এখান থেকে সূলভ মূল্যে পণ্য কিনতে পারে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তপন কান্তি ঘোষ জানান, পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে আমরা আমদানি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। খাদ্য পণ্য আমদানিতে এলসি খুলতে ডলারের যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বাংলাদেশ ব্যাংককের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।

সিনিয়র সচিব জানান, এপর্যন্ত দুই লাখ মেট্রিক টন আলু এবং ২৫ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১১ হাজার মেট্রিক টন আলু এবং ৬২ হাজার পিস ডিম দেশে এসে পৌঁছেছে। যার প্রভাব বাজারে পড়েছে। আইনি জটিলতার কারণে ডিম কম আমদানি হয়েছে। সমস্যা সমাধান হওয়ায় খুব শিগগিরই ডিমের চালান দেশে প্রবেশ করবে। অন্যদিকে আলু বিভিন্ন পোর্ট দিয়ে প্রতিদিন আসছে। নতুন ফসল না আসা পর্যন্ত আমদানি অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে পণ্য সরবরাহে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন এটা শুধু আমাদের দেশে না পুরো বিশ্বে। তেল ও চিনিসহ যেসব পণ্য আমদানি করতে হয় সেসব পণ্যের দাম সময়ে সময়ে নির্ধারণ করে দিয়েছি।

পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে বাজার স্থিতিশীল রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হাতের নাগালে রাখতে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় হয়তো পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি।

এসময় ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. ফয়জুল ইসলাম, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগে. জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, পি.এস.সি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন