বিশ্ববাজারে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করছে স্বর্ণ। প্রতিনিয়তই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। এরই মধ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ ডলার।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠে ২ হাজার ৪৩১ দশমিক ৫২ ডলারে। তবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই দাম কিছুটা কমে ২ হাজার ৩৪২ দশমিক ৯০ ডলারে নেমেছে।
এর আগে, গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার অতিক্রম করে। এর মাত্র ৭ দিনের মাথায় শুক্রবার এই দাম ২ হাজার ৪০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যা বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ।
চলতি বছর প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে তা ছাড়িয়েছে। সামনে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বেঞ্চমার্ক সুদের হার হ্রাসের ঘোষণা ও মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে। এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে সামনে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে।
অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলেন, মূলত ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানোর ইঙ্গিত ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। সুদহার কমে গেলে মানুষ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকেই বেছে নেয়। যার ফলে বাড়ে দাম। বিশ্ববাজারে এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। সামনে এই দাম আরও বাড়তে পারে। আর এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়বে।
এদিকে দেশের বাজারে সবশেষ গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভালো মানের ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।