বাগেরহাটে একটি জাভা ভোল মাছ লক্ষাধিক টাকায় বিক্রি হয়েছে। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাগেরহাটের সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে ৮ হাজার টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি হয়।
বরগুনা জেলার মৎস্য ব্যবসায়ী মাসুম কোম্পানির ট্রলার ১৩ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের মাছটি বাজারে নিয়ে আসে। কেবি বাজারের আড়ৎদার অনুপমের ঘরে মাছটি ডাকে তোলা হয়। উন্মুক্ত ডাকে স্থানীয় ক্রেতা আল আমিন হাজী ১ লাখ ৮ হাজার টাকায় কিনে নেন।
আল আমিন হাজী বলেন, ‘মাছটি চিটাগংয়ের ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠাবেন। এ মাছ অনেক দামে বিক্রি হয়। এটি যদি ৩০ কেজি ওজনের হতো, তাহলে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। শুনেছি এই মাছের পেটে যে পটকা (প্যাটা/বালিশ) থাকে, তা খুব দামি। এটি দিয়ে ওষুধ বানানো হয়।’
আল আমিন হাজী আরও বলেন, ‘এই মাছের আাইস প্রসেসিং করে অনেক বেশি দামে বিক্রি হয়।’
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম রাসেল জানান, জাভা ভোল বা সোনা ভোলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘প্রোটোনিবিয়া ডায়াকানথুস’। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া— এই সব দেশে এই মাছের চাহিদা খুব বেশি।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, এই মাছের ওষুধি গুণ থাকায় এর মূল্য এতো বেশি। মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পাানি এই মাছ কিনে নেয়। তারপর এর দেহের প্রায় প্রতিটি অংশ দিয়ে ওষুধ তৈরি হয়। এই মাছের বায়ু পটকা দিয়ে কিডনির নানা রোগ নিরাময়ের ওষুধ তৈরি হয়।