বেসরকারি চিনি সরবরাহকারী মিলমালিক ও ব্যবসায়ীরা চিনি নিয়ে সুখবর দিয়েছেন। তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকেই বাজারে চিনির সংকট কেটে যাবে।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে চিনির সরবরাহ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য মিলমালিক, রিফাইনারি, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভায় তারা এ প্রতিশ্রুতি দেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, এর আগে ভোজ্যতেল নিয়েও এমন করা হয়েছিল। সেখানে আমরা কারসাজির প্রমাণ পেয়েছি। চিনির ক্ষেত্রেও কিছু সমস্যা হতে পারে, এর মানে এই নয় যে, ৯০ টাকার চিনি রাতারাতি ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হবে। আমরা গত তিনদিন বাজারে অভিযান পরিচালনা করেছি। আমরা আশা করছি মঙ্গলবার থেকে চিনির সংকট কেটে যাবে।
সভায় উপস্থিত মিলমালিক ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, দেশে অপরিশোধিত চিনির ঘাটতি নেই। গ্যাস না পাওয়ায় চিনি পরিশোধন করতে পারেনি মিলগুলো। এ জন্য বাজারে চিনির সংকট হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে রাত থেকেই পরিশোধনকারী মিলগুলো চিনির সরবরাহ স্বাভাবিক করবে।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে অপরিশোধিত চিনির কোনো ঘাটতি নেই। যে পরিমাণ চিনি মজুত আছে, তাতে তিন থেকে চার মাস চাহিদা পূরণ সম্ভব।
কমিশনের উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, সরকারের নির্দেশনায় রোববার (২৩ অক্টোবর) পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, দেশে চিনির চাহিদা ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। আমাদের মজুত চিনিতে আরও চার মাস চালবে।