শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, শুধু নীতিমালার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে। কর্মপরিকল্পনার পাশাপাশি এটি বাস্তবায়নে নিবিড় মনিটরিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে বিদ্যমান সিইটিপি’র সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব আরো ৩টি সিইটিপি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ট্যানারিগুলোর LWG (Leather Working Group) সনদ প্রাপ্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আশানুরূপ হারে বৃদ্ধি পাবে।
সিনিয়র শিল্প সচিব আজ রাজধানীর মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রি: চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের উন্নয়নে অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক কমিশনার মোঃ আবদুল হালিম। মূল প্রবন্ধকার বলেন, ১৯৪০ এর দশকে এদেশে প্রথম চামড়া শিল্পের যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব ও প্রতিযোগিতামূলক চামড়া শিল্পখাত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উন্নয়ন নীতিমালা ২০১৯’ প্রণীত হয়। কিন্তু নানাবিধ কারণে এটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেনি। মোঃ আবদুল হালিম বলেন, নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে নিয়মিত তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি এসময় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও রোবোটিকস সহ এ খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
কর্মশালায় আলোচনা করেন বিসিক এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, বিএসটিআই এর মহাপরিচালক (গ্রেড-১) এস এম ফেরদৌস আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, কামরুন নাহার সিদ্দীকা ও মোঃ শামীমুল হক প্রমুখ।
কর্মশালায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিবৃন্দ; এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস এবং ফুটওয়্যার এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ হাইড এন্ড মার্চেন্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতি ও বিভিন্ন ট্যানারির প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।