পিরোজপুরের কাউখালীতে স্ত্রীর ওপর মা ও বোনের নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীকে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে দেখে স্ত্রী বিষ পানে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট বিড়াল ঝুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। মারা যাওয়া স্ত্রীর নাম আলেয়া আক্তার ওরফে আলো (১৮)। তার স্বামীর নাম মো. ইব্রাহিম হোসেন ফকির (২৮)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূর মরদেহের ময়নাতদন্ত করে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত গৃহবধূ একই ইউনিয়নের বড় বিড়াল ঝুড়ি গ্রামের নুরুল ইসলাম সর্দারের মেয়ে। তার স্বামী ইব্রাহিম পেশায় একজন রিকশাচালক।
নিহতের বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ৩ মাস আগে একই ইউনিয়নের ছোট বিড়াল ঝুড়ি গ্রামের মাওলা ফকিরের ছেলে ইব্রাহিমের সঙ্গে তার মেয়ে আলেয়ার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নিহতের শাশুড়ি ও ননদ মাহিনুর বেগম আলেয়াকে মেনে না নিয়ে প্রায়ই নির্যাতন করতেন। আর এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে কলহ লেগে থাকতো। এর জের ধরে জামাতা ইব্রাহিম গত মঙ্গলবার রাতে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে স্ত্রী ও মায়ের সামনে বসে বিষপান করতে চান। তখন ইব্রাহিমের হাতে থাকা বিষের বোতল নিয়ে আলেয়া নিজেই পান করেন।
ওই রাতে তাকে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নেওয়া হয়। পরদিন সকালে আলেয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন সংবাদমাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে মৌখিকভাবে শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।