পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় দাফনের দেড় মাস পর কবর থেকে মো. ইমরান গাজী (২৫) নামে এক বিদ্যুৎ মিস্ত্রির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে শহরের সবুজ নগর মহল্লায় ওই বিদ্যুৎ মিস্ত্রির পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাহিদ ভুইয়ার উপস্থিতে লাশটি দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ অক্টোবর পুলিশ শহরের সবুজ নগরের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ফ্যানের হুকে ঝুলন্ত অবস্থায় ইমরানের মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে মৃতদেহের ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। লাশ দাফনের সাত দিন পর মৃত ইমারানের বড় ভাই আবদুল্লাহ গাজী পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ এনে মঠবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিরোজপুর পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। এ মামলায় স্থানীয় এক দোকানী ফাতিমা বেগমসহ সাত জনকে আসামি করা হয়।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, প্রধান আসামি ফাতিমা বেগম পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে স্যালাইন ও জুসের সাথে ক্ষতিকারক কিছু মিশিয়ে ইমরানকে পান করিয়ে তাকে দুর্বল করে। পরে অন্য আসামিরা শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। পরে তার গলায় রশি লাগিয়ে ঘটনাস্থলে ফ্যানের হুকের সাথে ঝুলিয়ে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক পিরোজপুর জেলা পিবিআই, মো. আহসান কবীর জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে দ্বিতীয় দফা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।