পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় তন্বী আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধুকে জবাই করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। হত্যাকান্ডের পর নিহত গৃহবধূর লাশ একটি ডোবায় ফেলে রাখা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বিকেল থেকে ওই গৃহবধূ নিখোঁজ ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের পরিত্যক্ত বাগানের ভেতর ডোবা থেকে পুলিশ ওই গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
নিহত গৃহবধূর হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। গ্রামবাসীর ধারণা, দুর্বৃত্তকারীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে জবাই করে হত্যার পর লাশ ডোবায় ফেলে রেখে গেছে।
নিহত গৃহবধূ তন্বী আক্তার মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ইউনিয়নের উত্তর বড়মাছুয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক আকনের মেয়ে। সে দীর্ঘদিন ধরে পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিলো।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত তিন বছর পূর্বে বরিশালের বানারীপাড়ার মো. মান্নান ফকির এর ছেলে তৌহিদ ফকিরের সাথে পারিবারিকভাবে তন্বী আক্তারের বিয়ে হয়। নিঃসন্তান স্বামী তৌহিদ ও তন্বী উভয়ই সহজ সরল হওয়ার কারণে তন্বীর বাবা মেয়ে জামাইকে নিজ বসত বাড়িতে রেখে দেন। তন্বির স্বামী তৌহিদ বর্তমানে মংলা জাহাজে চাকরি করছেন। বুধবার বিকেলে পিত্রালয়ে থাকা তন্বী হঠাৎ নিখোঁজ হয়। এরপর তার স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে তন্বীর কোন সন্ধান পায়নি।
বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রতিবেশী সাঈদ মিয়ার স্ত্রী মিনারা ও কামাল আকনের স্ত্রী বানেছা বেগম বাগানে সুপারি গাছের শুকনো পাতা কুড়াতে গিয়ে তন্বীর মৃত দেহ বাগানের ডোবার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মঠবাড়িয়া সার্কেল মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে থানা, ডিবি পুলিশ, পিবিআই ও র্যাব সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ওই রাতে নিহত গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর বাবা আব্দুর রাজ্জাক আকন বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাশের সুরাতহাল করা হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি বিশেষ টিম তদন্ত করছে।