পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন; পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। বৈশ্বিক মহামারি থেকে বাচাঁর জন্য আমাদের পরিকল্পিতভাবে গাছ লাগাতে হবে। জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ ও বৃক্ষরোপণ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ নিধন থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে।
আমরা কোনো না কোনোভাবেই সবুজের ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, বর্তমানে যে ছাদ বাগান করা হচ্ছে তা পরিবেশের জন্য একটি ভালো দিক। প্রতিমন্ত্রী আবাদি জমি রক্ষা করে পরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আজ বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিন উল আহসান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে বক্তৃতা করেন বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোস্তফা কামাল, সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এহতেশামুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএম মহিউদ্দিন মানিক।
`বৃক্ষপ্রাণে প্রকৃতি-প্রতিবেশ, আগামী প্রজন্মের টেকসই বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ থেকে বরিশাল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা-২০২২। প্রধান অতিথি পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক সামীম ফিতা কেটে এ মেলার উদ্বোধন করেন। বরিশাল জেলা প্রশাসন ও সামাজিক বন বিভাগ এ মেলার আয়োজন করে।
প্রতিমন্ত্রীর আরও বলেন; ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর থেকে প্রকৃতি-পরিবেশসহ সব কিছু রক্ষা করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর একটি দেশ উপহার দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এবছর পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে ১৭ লক্ষ গাছ লাগানো হবে বলে তিনি জানান।
নানা জাতের ফুল, ফল, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির চারা এনে রাখা হচ্ছে স্টলগুলোতে। স্টলগুলো আরও আকর্ষণীয় করার জন্য বিভিন্ন আয়োজনে সাজানো হয়েছে। মেলায় অর্ধশতাধিক স্টল রয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগ। করোনাকালে দুই বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় এবার দেশপ্যাপী জাতীয় বৃক্ষমেলার আয়োজন হচ্ছে। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত চলবে এ মেলা ।
এর আগে এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিতে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার, পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক জাকির হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএম মহিউদ্দিন মানিকসহ, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ র্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন।