বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সব ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের আড়াই মাস পর বার্থী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাঘমারা বড় দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমারিতে কিছু ব্যালট পেপার ও দুইশ ব্যালটের মুড়ি পাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান তালুকদারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জলিল (সদস্য সচিব) ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
করোনার কারণে দেড় বছর বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর রোববার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। ওই দিন দুপুরে বড় দুলালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমারি খুলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খুঁজতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ খান গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনের কিছু ব্যালট পেপার ও দুইশ ব্যালটের মুড়ি দেখতে পান।
বার্থী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী খায়রুল আহসান খোকন বলেন, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার পেতে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করলেও তারা বিষয়টি আমলে নেয়নি।
এখন বিদ্যালয়ের আলমারিতে ব্যালট পেপার ও ব্যালটের মুড়ি পাওয়ার ফলে নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম ও দুর্নীতির যে দাবি করেছিলাম, তা সত্য বলে প্রমাণিত হলো।
একই অভিযোগ করে পরাজিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী শিপ্রা রানী ঘটনা তদন্ত করে প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।