ঈদের দিন কালো পোশাক পরা তরুণ-তরুণীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে জানা যায়, পটুয়াখালীর বাউফলের ওই তরুণ-তরুণী সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। অভিমান থেকে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। এবার পুলিশ ও চেয়ারম্যানের সমঝোতায় শ্বশুরবাড়ি ফিরে গেছেন মিম।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাউফল উপজেলা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. এনামূল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাউফল থানা থেকে ফোন পেয়ে আমি গিয়ে দেখি কামরুল ও মিমকে থানায় এনেছে পুলিশ। পরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে সমঝোতার জন্য আমার জিম্মায় দিয়ে দেন। আমি তাদের অবিভাবকদের নিয়ে ইউপিতে বসি। দুই পক্ষ মিলেমিশে থাকতে চায়, তাই মিমকে তার শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেই।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ওসি শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ভিডিওটি আমি দেখেছি এবং তাদের থানায় ডেকে এনে বিষয়টি ফয়সালার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিন্মায় দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই তরুণী বাউফলের কালাইয়ার মিলন মিয়ার মেয়ে মিম আক্তার। আর ওই তরুণ উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের কামরুল ইসলাম। গত এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা ঢাকায় থাকতেন। কামরুল ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। ঈদের আগের দিন কামরুল ও মিম ঢাকা থেকে বাড়িতে আসেন। ঈদের দিন কামরুল তার স্ত্রীকে নিয়ে নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা বললে মিম রাজি হয়নি। সে বলে, আমি কেন তোমার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাবে, দরকার হলে তোমার মা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসবে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে বাসা থেকে বের হয়ে গেলে তার স্ত্রী মিম তার পিছু নিলে রাস্তায় তাদের মাঝে মারামারি, ধস্তাধস্তি ও টানাটানির ঘটনা ঘটে।
৪৬ সেকেন্ডে ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, প্রকাশ্যে রাস্তায় এক তরুণীকে দফায় দফায় মারধর করছেন। সাদা পায়জামা ও কালো পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ এক তরুণীর হাত ধরে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে হেঁটে যাচ্ছেন। ওই তরুণের পেছনের দিকে পাঞ্জাবি অর্ধেক ছেড়া। হেঁটে যাওয়ার একপর্যায়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে তরুণীকে কিলঘুষি মারছেন তরুণ। সেই সঙ্গে চুল ধরে টানাটানিসহ দফায় দফায় তরুণীকে বিভিন্নভাবে আঘাত করে ফেলে দিচ্ছেন। রাস্তায় বহু মানুষ চলাচল করলেও তরুণীকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসছে না কেউ।