বরিশালে করোনা সংক্রমণের ভীতি উপেক্ষা করে উন্মুক্ত পার্কে হাজারো মানুষের ঢল নেমেছে। তাদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহার করেননি অর্ধেকের বেশী মানুষ। ঈদ উদযাপনের আনন্দে উবে গেছে শারীরিক দূরত্ব। যদিও পার্কে জনসমাগম রোধে কঠোর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
প্রতি বছর ঈদের পরদিন নগরীর বিভিন্ন পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্র মানুষের ঢল নামে। গত বছর করোকালীন ঈদে প্রশাসনের কঠোরতার কারনে নিস্তব্দ এবং সুনশান নিরবতা ছিলো প্রতিটি নিয়ন্ত্রতি ও উন্মুক্ত পার্ক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারনে এবারের ঈদেও পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রে জনসমাগম একেবারে নিষিদ্ধ করে গনবিজ্ঞপ্তি জারী করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের শিথিলতার সুযোগে ঈদের দিন বিকেলে নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদীর তীরে এবং দপদপিয়া সেতু সহ প্রতিটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রে হাজারো লোকের সমাগম হয়।
প্রথম দিন প্রশাসনের কড়াকড়ি না থাকায় শনিবার ঈদের দ্বিতীয় দিন বিকেলেও নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যান, ত্রিশ গোডাউন কীর্তনখোলা নদীর তীরে এবং দপদপিয়া সেতুসহ প্রতিটি উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রে মানুষের ভীর দ্বিগুন হয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্র ত্রিশগোডাউন, বঙ্গবন্ধু উদ্যান এবং দপদপিয়া সেতুসহ অন্যান্য জায়গা মানুষে ঠাসা। ব্যাপক লোকসমাগমের কারনে গা ঘেষে বিনোদন করতে হচ্ছে তাদের। শারীরিক দূরত্ব নিয়ে তেমন ভাবনা নেই আগতদের। তাদের অনেকেই ব্যবহার করেননি মাস্ক। করোনায় সরকারি নিষেধজ্ঞা উপেক্ষা করে করে বিনোদন কেন্দ্রে যাওয়ার নানা যুক্তি দিয়েছেন তারা।
যদিও করোনাকালে সরকারি নির্দেশনার কারনে সকল পার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার। বরিশালের উন্মুক্ত বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ব্যাপক ভীর হলেও সরকারী-বেসরকারী নিয়ন্ত্রিত পার্কগুলো বন্ধ রয়েছে।