বরিশালের নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোডের বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদে মোবাইল দেখে তারাবি নামাজ পড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রমাণ পেয়ে অভিযুক্ত জাকির হোসেন নামের ওই হাফেজকে নামাজ পড়ানো থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মসজিদের ম্যানেজিং কমিটি।
গত শুক্রবার (২৪ মার্চ) দ্বিতীয় রমজানের রাতে ও শনিবার (২৫ মার্চ) তৃতীয় রমজানের রাতে হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল দেখে দেখে তারাবির নামাজ পড়ানোর দৃশ্য মসজিদের পাশে দাঁড়িয়ে ভিডিও করেন এলাকাবাসী।
ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে মসজিদের ইমাম ফারুক হোসেন বলেন, হাফেজ জাকির হোসেন মোবাইল দেখে তারাবির নামাজ পড়িয়েছেন বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। তাই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ওই মসজিদে নামাজ আদায়কারী কয়েক জন মুসল্লি অভিযোগ করেন, হাফেজ জাকির হোসেন মসজিদের ইমাম ফারুকের নিজস্ব মাদরাসার একজন শিক্ষক। তাই তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে তাকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বায়তুল আনোয়ার জামে মসজিদের ক্যাশিয়ার মিল্টন চৌধুরী বলেন, তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে মসজিদ কমিটির কেউ ছিলেন না। মসজিদের ইমাম ও এলাকার বড় একটি মসজিদের ইমাম মিলে ইন্টারভিউ নিয়ে হাফেজ ঠিক করা হয়েছিল। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা জেনে ওই হাফেজকে বাদ দিয়ে অন্য একজন হাফেজ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
হাফেজ জাকির হোসেনের তারাবির নামজ পড়ানোর যোগ্যতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওই মসজিদের ইমাম ফারুক হোসেন বলেন, তারাবির নামাজের জন্য হাফেজ নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো স্বজনপ্রীতি করা হয়নি। হাফেজ নিয়োগের সময় ইন্টারভিউ বোর্ডে ৮-১০ জন উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে মেধার মূল্যায়নে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।