কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গাড়ি মেরামতের জন্য রাস্তায় বের হন মো. রাজীব (২৬) নামের এক পিকআপ চালক। এসময় তার মুখে ছিল না মাস্ক। হঠাৎ সেখানে এসে পড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের গাড়ি। শাস্তি থেকে বাঁচতে কাগজ ও স্কচটেপ দিয়ে তাৎক্ষণিক মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নেন তিনি। তবে এতেও শেষ রক্ষা হয়নি, জরিমানা গুনতে হয় তাকে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ দস্তগীর জানান, তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চকবাজার, বাজাররোড, হাসপাতাল রোড, নতুনবাজার, নথুল্লাবাদসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। বিকেল ৫টার দিকে নতুনবাজার এলাকায় অভিযানের সময় একটি পিকআপকে থামার সংকেত দেয়া হয়। এর আগেই দূর থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দল দেখে পিকআপে থাকা কাগজ ও স্কচ টেপ দিয়ে তাৎক্ষনিক মাস্ক তৈরি করে মুখে লাগিয়ে নেন চালক রাজিব।
পিকআপ থামিয়ে বিধিনিষেধের মধ্যেও তার ঘর থেকে বের হওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হলে চালক রাজীব দাবি করেন, তিনি পিকআপটি মেরামতের জন্য বের হয়েছেন। মাস্ক না ব্যবহার করে মুখে স্কচটেপ দিয়ে কাগজ লাগানোর কারণ জানতে চাইলে চালক জানান, মাস্ক ভুলে বাসায় ফেলে এসেছেন।
এসময় মাস্ক না থাকায় তাকে ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর মাস্ক পরিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ দস্তগীর আরও জানান, কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিনে নগরীর রাস্তাঘাটে লোকজনের উপস্থিতি কম ছিল। মার্কেট ও ছোট-বড় দোকানপাট বন্ধ ছিল। যৌক্তিক কারণ ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের প্রশাসনের জেরার মুখে পড়তে হয়। এসময় বিধিনিষেধ না মানায় জরিমানা করা হয়েছে অনেককে। তবে যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের পর কঠোর বিধিনিষেধের প্রথমদিন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারের নির্দেশনায় বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে ১৩ টি ভ্রাম্যমাণ আদলত পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ৭৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।