পটুয়াখালীর গলাচিপায় সরকারি খাস জমিতে গড়ে ওঠা সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির বাসভবনসহ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার উলানিয়া বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম।
এ সময় গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার ও গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোলাম মাওলা রনি উলানিয়া বন্দরে চান্দিভিটার জমি এক বছর মেয়াদি বন্দোবস্ত নিয়ে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনাসহ দ্বিতল ভবন নির্মাণ করে বসবার করে আসছেন। সরকারি জমি থেকে সাবেক এই সংসদ সদস্যর স্থাপনা সরিয়ে নিতে একাধিকবার নোটিশ করলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল কাইয়ুম জানান, এখানে কোনো বিশেষ ব্যক্তির স্থাপনা নয়, উলানিয়া বাজারে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় ২০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়টি আদালতের নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আইনের একজন ছাত্র হিসেবে আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না যে, হাইকোর্টে একটি মামলা স্ট্যান্ডওভার থাকা অবস্থায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন এবং গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কীভাবে আমার পৈতৃক বাড়িটি আজ ভাঙছে? হাইকোর্টের বেঞ্চে শুনানির জন্য গৃহীত একটি রিট কিভাবে মাঠ প্রশাসন অমান্য করে। আদালতের সব কাগজ দাখিল করার পরও তারা উল্টাপাল্টা কথা বলে উচ্চ আদালতকে বুড়ো আঙুল দেখায়- এটা আমার বোধগম্য নয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সরকারি জমিতে অবৈধভাবে নির্মাণ করা স্থাপনা সরিয়ে নিতে পটুয়াখালীর গলাচিপার সাবেক এমপি গোলাম মাওলা রনিকে একাধিকবার নোটিশ দেয় প্রশাসন। তবে তিনি কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।