বরিশালে ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন’ উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছে দুই গ্রুপ। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নগরীর সদর রোডের বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের উপস্থিতিতে এই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এদিকে মহানগর বিএনপির সভা হলেও শুধুমাত্র অনুসারী কয়েকজন নেতাকে নিয়ে এই সভা করার অভিযোগ উঠেছে। কমিটির সহসভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কিংবা যুগ্ম সম্পাদক কাউকেই ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকি তাদের অবহিতও করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগামী ৭ নভেম্বর ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন’ উপলক্ষ্যে মহানগর বিএনপি সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করে। তবে ওই সভায় সিনিয়র সহসভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জাহিদুল কবির সহ অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমননি মহানগর সভাপতির স্বেচ্ছাচারী মতের বিরোধীতাকারী কাউকে ওই সভার বিষয়ে অবহিতও করা হয়নি। তবে সরোয়ারের ঘনিস্ট অনুসারী সৈয়দ আহসানুল কবীর হাসান, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আকবর, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি শহিদুজ্জামান শাহীনসহ অন্যান্যরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সন্ধ্যার পর মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ারের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। এ সময় সভার সঞ্চালক সাজ্জাদ হোসেন উপস্থিত সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম-পদবী পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে মহানগর বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আরিফুর রহমান বাবু তার নিজের নাম ঘোষনা না হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। তিনি সঞ্চালকের উপর ক্ষুব্ধ হন এবং তার দিকে তেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সভায় উপস্থিত সরোয়ারসহ অন্যান্যরা বাবুকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। ঘটনার সময় ধাক্কাধাক্কি এবং হাতাহাতি হয়।
সভার বিষয়ে মহানগর বিএনপির ১ নম্বর সহসভাপতি মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, তিনি প্রস্তুতি সভা সম্পর্কে কিছু জানেন না। কেউ তাকে অবহিতও করেননি। এভাবে সভাপতি একতরফা সভা আহবান করতে পারেন না বলেও অনুযোগ করেন তিনি।
মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া বলেন, তিনি সভার বিষয়ে কিছু জানেন না বা তাকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির সম্মতিতে সাধারন সম্পাদক সভা আহবান করবেন। কিভাবে কি হলো তিনি কিছু বুঝতে পারছেন না। এভাবে নিয়ম বহির্ভুতভাবে সংগঠন পরিচালিত হলে বিচ্ছৃংখলা দেখা দেয় এবং চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়ে বলে দাবী করেন জিয়া।
সভার সঞ্চালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এক নেতার নাম বলা নিয়ে সভার শুরুতে কিছুটা ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছিলো। পরে নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন