বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘলা আকাশের কারণে সারা দিনে সূর্য্যের দেখা মেলেনি বরিশালে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে পানির উচ্চতা বেড়েছে। উত্তাল রয়েছে বঙ্গোপসাগর। এ কারণে পটুয়াখালী এবং বরগুনার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। সমূদ্রের পানি বেড়ে যাওয়ায় অভ্যন্তরীন নদ-নদীর পানি ভাটির দিকে নামছে ধীরগতিতে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব শেষ রিপোর্টে বিভাগের ৯টি স্থানে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত থাকায় নৌ চলাচলে কোন বিধি নিষেধ নেই বিআইডব্লিউটিএ’র।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মো. আনিছুর রহমান জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ভারতের ঊড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুন্দ্রবন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ মিলিমিটার এবং সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৮.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, মৌসুমী লঘুচাপের কারণে সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে। আকাশ রয়েছে মেঘলা। দুর্যোগ হানা দিলে স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট উচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে মাছ শিকার করতে বলা হয়েছে। ৪ নম্বর সংকেত জারী হলে মাইকিং এবং পতাকা টানাবে সিপিপি।
বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বরিশাল নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। এ কারণে অভ্যন্তরীন নদ-নদীতে নৌযান চলাচলে কোন বিধিনিষেধ নেই কর্তৃপক্ষের।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার জানান, বরিশাল অঞ্চলে ১৪টি নদীর ২০টি স্থানের পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয়। সব শেষ রিপোর্টে ৯ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিনি আরও বলেন, নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রে পানি বেড়েছে। এ কারণে অভ্যন্তরীন নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে ভাটির দিকে নামছে। সমুদ্রে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় পটুয়াখালী এবং বরগুনার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সজাগ এবং সতর্ক রয়েছে। পানি কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করা হবে বলে তিনি জানান।